Bengali Serial

Moumita

পর্দায় মিল হলেও বাস্তবে সাপ-বেজির সম্পর্ক! দূরত্ব বাড়ছে জগদ্ধাত্রী-সয়ম্ভূর

‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri) সিরিয়ালে (Bengali Serial) এখন টানটান উত্তেজনা। একদিকে উৎসব যেখানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে অন্যদিকে গোপনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বাড়ির বৌ জগদ্ধাত্রী। আর তার মধ্যেই নাকি স্বয়ম্ভূ আর জগদ্ধাত্রীর মধ্যে তৈরি হচ্ছে দুরত্ব?

   

তবে ক্যামেরার সামনে যেমন টানটান উত্তেজনা, ক্যামেরার পেছনেও কি ততটাই উত্তেজনা বিরাজ করে?সম্প্রতি দর্শকদের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’ টিম। এখানে বলে রাখি, শহর থেকে দূরে যেখানে জগদ্ধাত্রীর শুটিং হয় সেটা একটাই ফ্লোর। তাই গোটা সেট জুড়েই জ্যাজ-সম্ভূর রাজত্ব।

এইদিন রাজ্যের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন যখন জগদ্ধাত্রীর সেটে পৌঁছায় তখন দুপুরের লাঞ্চ ব্রেক চলছে। স্বয়ম্ভূ ওরফে সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়ের শট শেষ হয়ে গেলেও অঙ্কিতার শট তখনও বাকি ছিল। তবে একটা কথা স্পষ্ট বোঝা গেল যে, ক্যামেরার বাইরে উত্তেজনা না থাকলেও খুনসুঁটি ভালোই চলে।

জগদ্ধাত্রী ওরফে অঙ্কিতার কথায়, ‘না না টেলিভিশনে দর্শক যেমনটা দেখতে পান। আদতে কিন্তু আমাদের সম্পর্ক পুরো টক ঝাল মিষ্টি। শট কাটলেই শুরু হয়ে যায় ঝগড়া। আজ তা-ও শুটিংয়ে সদস্য কম। আমার ঘর ভর্তি থাকে। পাশের ঘরে রূপসাদি, ত্বরিতাদিরা থাকে।’

একসঙ্গে রিল বানানো থেকে শুরু করে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া, এইভাবেই বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন তারা। অঙ্কিতার কথায়, “আমি সৌম্যদীপ এত ঝগড়া করি, এক দিন তো তাই জন্য রিল করতে গিয়েই আমাদের কত বার কাট করতে হয়েছে। সবাই আমাদের দেখে হাসে।”

তবে শুধুই রিল বানানোই নয়, তার সাথে জমিয়ে খাওয়া দাওয়াও হয়। অভিনেত্রী বলেন, “তাপসীদি অর্থাৎ সিরিয়ালে আমার কাকিশাশুড়ি যিনি আর আমার শাশুড়ি অর্থাৎ মৌমিতাদি আর আমি এই ঘরেই বসি। তাপসীদির মেকআপ ব্যাগের থেকে বড় হয় ওঁর খাবার ব্যাগ। প্রতি দিন আমাদের ভূরিভোজ যা চলে বাইরে থেকে কেউ দেখলে অবাক হয়ে যাবে। আমি খুব খুশি এমন পরিবার পেয়ে।”