আর মাত্র কয়েকটা দিন আর তারপরেই বড়ো মায়ের পুজো। কালিপুজো নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই সকলের মধ্যে। ইতিমধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় সেজে উঠেছে প্যান্ডেল। প্রতিটি ঘরে জ্বলে উঠেছে প্রদীপ। আর এই উৎসবে শামিল হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাসও (Shruti Das)। নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে তাকে দেখে চেনা তো দূর বোঝারও উপায় নেই যে ইনিই শ্রুতি দাস।
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই পোস্ট করেছেন নিজের এই ছবি। ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বেশ ভালো রকম হইচই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই। অনুরাগীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে এই নিয়ে আলোচনা। আসলে এমনিতে শ্রুতির গায়ের রং নিয়ে বহু কটাক্ষ শুনতে হয় তাকে। তার জবাবও বেশ কড়া ভাবেই দেন তিনি। আর সেই কারণেই তার ফ্যান ফলোয়িংও নেহাত কম নয়।
‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের শ্রুতি ছিলো কালো মেয়ে। সেইসময় তার গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষ করতেন অনেকেই। অনেকেরই বক্তব্য ছিলো এরকম কালো মেয়েকে ঠিক নায়িকা চরিত্রে মানাচ্ছেনা। তো কেউ বলতেন, তিনি অভিনয় জানেননা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মিমস আর ট্রোলিংয়ের বন্যা বয়ে যেতো তাকে নিয়ে।
অবশ্য অভিনেত্রীও কিছু কম যান না। প্রতিটা ট্রোলিং এবং কটাক্ষের যোগ্য জবাব দেন তিনি। আর এবারে তো একটা অপূর্ব সাজের মাধ্যমে শ্রুতি বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেক মেয়ের মধ্যে শ্যামা মা লুকিয়ে থাকেন। শুধুমাত্র রং দিয়ে মায়ের বিচার হয় না, শ্যামা মায়ের গুণ ও প্রকৃতি তার পরিচয়। তার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই তো আবার তাকে মা ভবতারিণী ভেবে প্রণামও করে বসেন।
হ্যাঁ, একেবারেই বড়ো মায়ের রূপেই সাজিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘মা ভবতারিণী, বিশ্বজননী অনন্ত রূপিনী, সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়কারিণী।” আর তারপরেই তিনি লেখেন, “এটি কোনো মূর্তি নয়, মনুষ্য শরীরে মায়ের রূপদান। ভবতারিণী মায়ের রূপসজ্জা করেছেন মুক্তি রায়।বন্ধ নেত্রের ওপর চক্ষুদান করা হয়েছে।ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন। আপনাদের ভালোবাসা একান্ত কাম্য।”
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন
অর্থাৎ এটি কোনো মূতি নয়, এটি স্বয়ং তিনিই। মেকাপ শিল্পী মুক্তি রায়ের হাতের জাদুতে একদম সাক্ষাৎ মা হয়ে উঠেছেন তিনি। পাশাপাশি শ্রুতি জানিয়েছেন যে, এই গোটা শ্যুটটি করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৩ ঘণ্টা। যার মধ্যে মেকাপের পেছনে সময় ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ ঘন্টা। সর্বোপরি নায়িকার এই ধৈর্য আর ডেডিকেশন সত্যিই প্রশংসনীয়।
