ছোটোপর্দা থেকে সোজা রূপোলী পর্দায় অভিনয়। আর তাও আবার মহানায়ক দেবের মতো অভিনেতার বিপরীতে। সাথে রয়েছেন অভিজ্ঞ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই ভাগ্য খুব কম জনের হলেও সম্প্রতি এভাবেই সাফল্যের আকাশে উড়ছেন অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। এতোদিন টেলিভিশনে কাজ করার পর এবার তার দেখা মিলবে বড়ো পর্দায়।
এইমুহুর্তে আনন্দই আনন্দ তার জীবনে। আর এই খুশির পারদ আরেকটু বাড়িয়েছে তার জন্মদিন। গত ২১ সেপ্টেম্বর আরো একটা বছর বয়স বেড়ে গেছে শ্বেতার। একদিকে বড়ো পর্দায় আত্মপ্রকাশ অপরদিকে জন্মদিনের আনন্দ সবে মিলিয়ে দিনটি বেশ চুটিয়ে সেলিব্রেট করলেন অভিনেত্রী।
জানা গেলো, দিনের শুরুটা নাকি করেছিলেন পোলাও দিয়ে। আর শেষ হয়েছে বিরিয়ানি দিয়ে। আসলে তার আসন্ন ছবি ‘প্রজাপতি’-র শুটিং ইতিমধ্যেই শেষ। এখন শুধু বাকি আছে ছবির ডাবিং টুকু। আর তাও শুরু হবে কিছুদিন পর। আপাতত শ্বেতার হাতে অঢেল সময়। তাই আর বেশি চাপ না নিয়ে জন্মদিনটা বাড়িতে পরিবারের সাথেই কাটালেন শ্বেতা।
অভিনেত্রীর কথায়, জীবনের এই বিশেষ দিনটা তিনি শুধু নিজের পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান। দুদিন পর আবার সেই তো কাজে ফিরতেই হবে তাই যতটুকু সময় পাওয়া যায় পরিবারকে দেওয়াই ভালো। পাশাপাশি এইদিন নিজের কেরিয়ার সম্পর্কেও বেশকিছু মন্তব্য করতে দেখা গেলো তাকে। জানা গেলো বড়ো পর্দায় কাজ করলেও ছোটো পর্দার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে রাজি নন তিনি।
এই বিষয়ে শ্বেতার স্পষ্ট জবাব, সংসারের দায়িত্ব তার কাঁধের উপরে। আবার সিনেমার সুযোগ কবে আসবে না আসবে তার উপরে ভরসা করে বসে থাকলে চলবে না। আসলে টেলিপাড়া থেকে খবর মিলেছিলো স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর এতদিনের প্রযোজনা সংস্থা ছেড়ে নাকি সুশান্ত দাসের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন তিনি। একই ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে করতে বোর হয়ে গিয়েছেন, তাই নতুন কিছু সিরিয়ালে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে শ্বেতা বলেন, এ নাকি বড়োই অবান্তর কথা। এধরণের ভিত্তিহীন দাবি তিনি করতেই পারেননা। স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরেই তিনি অভিনয়ে এসেছেন, জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি উপকারের প্রতিদান দিতে জানেন। এমনকি জি বাংলা চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন যে, আর সিরিয়াল করতে চাননা। শ্বেতার মতে এইসব গুজবে কান না দেওয়াই ভালো।
