বাংলা সিনেমা যারা দেখেন তারা জানবেন যে, এখানে সাধারণত দুই ধরণের ছবি তৈরি হয়ে থাকে। এক বাণিজ্যিক ছবি আর দুই বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা প্রদর্শনীকে উদ্যেশ্য করে নির্মিত সিনেমা। তবে বিগত কয়েকবছরের ছবিগুলি লক্ষ করলে বোঝা যাবে যে, এই দুই ধারার সংমিশ্রণে সিনেমা নির্মানের চেষ্টা হচ্ছে টলিউডে। এবং তা বেশ পছন্দও করছে দর্শকরা। এমতাবস্থায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে একটা নতুন দিশা দেখানোর জন্য যে কয়জন পরিচালকের নাম আসবে সৃজিত মুখার্জি তার মধ্যে অন্যতম। তারই কয়েকটি বহুল চর্চিত ছবি নিয়ে কথা বলবো আজকের প্রতিবেদনে।
১) অটোগ্রাফ : সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘অটোগ্রাফ’। ভিন্ন স্বাদের এই ছবির বেশ কয়েকজন প্রধান শিল্পী হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নন্দনা সেন এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। অটোগ্রাফ বাঙালির সাথে এক অন্য প্রসেনজিতের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো।
২) ২২শে শ্রাবণ : প্রথম ছবি অটোগ্রাফের পর সৃজিত হাত দেন তার পরবর্তী ছবি ‘২২শে শ্রাবণ’-এ। থ্রিলার, সহিংসতা, সঙ্গীতের পাশাপাশি বাংলা কবিতার এক অদ্ভুত ককটেল এটি। এই ছবিতেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে পরমব্রত এবং রাইমাকে।
৩) চতুষ্কোণ : সৃজিতের সেরা কাজগুলির মধ্যে একটি হলো চতুষ্কোন। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অপর্ণা সেন, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ প্রমুখ। রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত এই সিনেমাটির কাহিনি গড়ে উঠেছে চার পরিচালকের চার ধরনের গল্প নিয়ে। চারটি ভিন্ন গল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ছবিটির ক্লাইম্যাক্সে প্রতিটি গল্পকে এক সুতোয় বেঁধে অসাধারণ একটি থ্রিলার উপহার দেন এই নির্মাতা।
৪) জাতিস্মর : নিঃসন্দেহে এটিও সৃজিতের একটি স্মরণীয় কাজ। হেন্সম্যান অ্যান্থনির গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি। এই ছবিতেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে যিশু সেনগুপ্ত এবং স্বস্তিকা মুখার্জিকে।
৫) ভিঞ্চি দা : ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে থাকা এক মেকাপ আর্টিস্টের গল্প বলে এই ছবিটি। ছবির মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিলো রুদ্রনীল ঘোষকে। প্রস্থেটিক মেকাপের আড়ালে ঘটে যাওয়া ক্রাইম গুলি আপনার শরীরে শিহরণ জাগানোর জন্য যথেষ্ট। না দেখে থাকলে আজই দেখে ফেলুন।