অল্পেশ রাঠোড,গুজরাট,নিট,সাফল্য,ডাক্তারি পরীক্ষা,Alpesh Rathore,NEET,Medical Entrance,Success Gujrat

Moumita

বাবার সাথে বিক্রি করতেন ফুচকা, সেই ছেলেই আজ NEET পরীক্ষায় সফল, ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ অল্পেশের

একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য আছে ‘যে খায় চিনি তার জোগায় চিন্তামণি’। অর্থাৎ মনপ্রাণ দিয়ে কোনো জিনিস চাইলে আর তার জন্য সঠিকভাবে পরিশ্রম করলে সাফল্য হাতের মুঠোয় আসতে বাধ্য। এই চিরসত্যকেই ফের আরও একবার প্রমাণ করে দেখালেন অল্পেশ রাঠোড়। বাবার ফুচকার দোকানে প্লেট পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে NEET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এখন কার্ডিওলোজিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে।

   

গুজরাটের আরাবল্লী জেলার মেঘরাজ নামের একটি এলাকার বাসিন্দা অল্পেশ রাঠোড। বাবা পেশায় একজন ফুচকা বিক্রেতা। এটিই তার পরিবারের রুজি রোজগার। এই পরিস্থিতি থেকে আজ NEET পরীক্ষায় ৭০০-র মধ্যে ৬১৩ নম্বর পেয়েছেন অল্পেশ। এমতাবস্থায়, তিনি ডাক্তারি পড়ে ভবিষ্যতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হতে চান। অল্পেশের কথায়, “আমি কার্ডিওলজিতে বা নিউরোলজিতে কেরিয়ার গড়তে চাই।”

অবাক করা বিষয় হলো কেন্থওয়ার নামক এই গ্রাম থেকে অল্পেশই প্রথম ব্যক্তি যিনি ডাক্তারি পড়তে যাচ্ছেন। এর আগে দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন রোজ নিয়ম করে বাবার কাজে তাকে সাহায্য করতে হতো‌। ভোর ৪ টায় উঠে তিনি ফুচকার মশলা তৈরিতে সাহায্য করতেন। এরপর ফুচকার স্টল সাজিয়ে স্কুলে যেতেন। স্কুল থেকে ফেরার পরও কিছু সময় তাকে দোকানে থাকতে হতো এবং পড়ে থাকা এঁটো বাসন পরিষ্কার করার দায়িত্বও ছিলো তার উপরেই।

অল্পেশ রাঠোড,গুজরাট,নিট,সাফল্য,ডাক্তারি পরীক্ষা,Alpesh Rathore,NEET,Medical Entrance,Success Gujrat

এমতাবস্থায় তার NEET অবদি পৌঁছানোর সফর এতোটাই সহজ ছিলনা। কখনই বা পড়বেন আর কীভাবেই বা পড়বেন? কিন্তু ছোটোবেলা থেকেই মেধাবী হওয়ার সুবাদে শিক্ষকদের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন যে। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্কুলের শিক্ষকরাই তাকে পরিচালনা করতে শুরু করেন।

কিন্তু যখনই NEET-র কথা ওঠে তখন অল্পেশের বাবা রাম সিংয়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। মাত্র ১৫ হাজার টাকার রোজগারে ঘর চলেনা সেখানে কোচিং সেন্টারের ফি জোগাড় করবেন কোত্থেকে? কিন্তু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে এবং ছেলের মেধার উপর ভরসা রেখে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন তারা। আর সেই চেষ্টা তে বিফলে যায়নি তার প্রমাণ তো অল্পেশের চোখধাঁধানো রেজাল্ট।

সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি ভিডিওও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অল্পেশ বসে রয়েছেন তার বাবা মায়ের সাথে। এই প্রসঙ্গে অল্পেশ জানিয়েছেন, “আমার মতো দরিদ্র ছাত্রদের জন্য, শিক্ষা হল নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে দারিদ্রতা থেকে বের করে আনার একটি অস্ত্র। আমি রোজগার শুরু করলে মা-বাবাকে ভালোভাবে রাখতে পারব। তাঁদের অনেক কিছু প্রাপ্য রয়েছে।”