নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সুন্দরী এবং প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে। কিছুদিন আগেই ক্যান্সারের মতো মারণরোগকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন তিনি। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ফ্যান ফলোয়িংয়ের কমতি নেই তার। তবে কেরিয়ারের শুরুর দিকগুলো এরকমটা মোটেও ছিলোনা। অস্থি চর্মসার চেহারার জন্য কম কটূকথা শুনতে হয়নি তাকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি। যখন তার ক্যান্সার ধরা পড়ে সেই সময় ডাক্তাররা বলেই দেন যে মাত্র ৩০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে বেঁচে থাকার। লড়াই করা যে মেয়ের স্বভাব, সে মেয়ে কি এতো সহজে হার মানতে পারে! মনের জোর আর চিকিৎসকদের সাহায্যে সাক্ষাত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন সোনালি। তবে এই প্রথম নয়, কেরিয়ারের শুরু থেকেই লড়াই করে এসেছেন তিনি।
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সোনালি নিজের কেরিয়ারের প্রথম দিকের স্মৃতি হাতড়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে আনেন। জানা যায়, প্রথমদিকে তিনিও বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। তার রোগা পাতলা চেহারার জন্য প্রায়শই কথা শুনতে হতো তাকে।
কথা প্রসঙ্গে, সোনালি জানান, “৯০ এর দশকে স্কিনি হওয়া সৌন্দর্যের মান ছিল না, বরং স্বেচ্ছাচারিতাকে সৌন্দর্য বলে মানা হতো। আমাকে বলা হয়েছিল যে আপনি যদি স্বেচ্ছাচারী না হন তবে আপনি একজন মহিলা নন, আপনি জানেন যে এটি হওয়া উচিত নয়।”
শুধু তাই নয়, সোনালি আরো জানান যে, “আমি একমত যে বডি শেমিং আমাদের সমাজের অংশ নয়।
আমাদের সমাজ এবং বিশেষ করে ছোট মেয়েরা যে ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠছে তা একেবারেই ঠিক নয়। তারা পাগলের মতো ডায়েটিংয়ে মত্ত হয়ে পড়েছে। মানুষ ভুলে যাচ্ছে যে এটাই সামগ্রিক নয়।”
১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আগ’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সোনালি। গোবিন্দা, শিল্পা শেঠি এবং শক্তি কাপুরের মতো বিশিষ্ট তারকাদের দেখা গেছিলো এই ছবিতে। এরপর ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দিলজলে’ ছিলো তার কেরিয়ারের প্রথম বড়ো হিট। এরপর মেজর সাব, সরফারোশ, হাম সাথ সাথ হ্যায়-এর মতো সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু সিনেমাই নয়, তাকে দেখা গেছে ইন্ডিয়াজ বেস্ট ড্রামেবাজ, হিন্দুস্তান কে হুনারবাজ, ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট এবং ইন্ডিয়ান আইডল-এর মতো রিয়েলিটি টেলিভিশন শো-এর বিচারকের আসনে।