পুজো মানেই চারদিনের জবরদস্ত প্ল্যানিং। তারমধ্যে অষ্টমির দিনটা যেন একটু বেশিই স্পেশাল। আর হবে নাই বা কেন এইদিন শাড়ি পাঞ্জাবির ভিড়ে দুই চোখ খুঁজে বেড়ায় বিশেষ কোনো মানুষকে। ঠিক কতটি সাজলে প্রিয়জনের চোখ আটকাবে তার প্রতি এই নিয়ে তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা। এইদিন এরকমই কিছু পুরোনো ভালো লাগা মন্দ লাগার ডালি সাজিয়ে বসেছিলেন সোনামনি সাহা।
আসলে এই অষ্টমির দিনটা প্রত্যেক বাঙালির জন্যই বড্ডো স্পেশাল। ব্যতিক্রম নয় টেলি তারকারাও। বাকিদের মতো তাদেরও বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই দিনটা নিয়ে। কাউকে দেখে বুকের মধ্যে হঠাৎ ধুকপুকানি, পুজোর কয়েকটা দিন তাকে ফলো করা। তারপর কপাল ভালো থাকলে হয়তো ফোন নম্বর আদান-প্রদান, এই সবকিছু তো এই পুজোতেই হয়।
তবে বড়ো হওয়ার সাথে সাথে এই দুষ্টু মিষ্টি অনুভূতি গুলো যেন কোথায় হারিয়ে যায়। কঠিন বাস্তবের একটা পুরু আস্তরণ পড়ে যায় চারপাশে। কিছুটা এমন গল্প অভিনেত্রী সোনামনির জীবনেও। বিবাহ বিচ্ছেদ কবেই হয়ে গিয়েছে তার। সহ-শিল্পীর সাথে তাকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়েছে সম্পর্কের গুঞ্জন। তবে অভিনেত্রী এখন এইসব রটনায় অভ্যস্ত।
যদিও ছোটোবেলাটা এরকম ছিলোনা। মালদহের মেয়ে সোনামনি ছোটবেলায় চুটিয়ে আনন্দ করতেন পুজোতে। মায়ের যাওয়ার দিন এগিয়ে আসতেই একা লাগত, কেঁদে ফেলতেন। কিন্তু গত কয়েকবছরে আর এসব নেই। কাজের চাপে এই দিনগুলোও বাকি পাঁচটা দিনের মতো হয়ে গেছে। বছর পাঁচেক আগেও যে সোনামনি পুজোর দিনগুলোতে মণ্ডপেই পড়ে থাকতেন আজ তিনিই পুজোর সময় শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন।
এইদিন অভিনেত্রীর কথায় জানা গেলো, বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন সবাই মণ্ডপ দেখতে আসতো সোনামনিদের মূল আগ্রহ থাকতো ছেলেদের ঘিরে। তারা কী পরেছেন, কে কতটা ড্যাশিং এই নিয়ে চর্চা চলতো অভিনেত্রীর বান্ধবীমহলে। তাদের পা থেকে মাথা অবদি লক্ষ্য করতেও তারা। অভিনেত্রী কথায় সেইসব দিন সত্যিই মজার ছিলো।
কিন্তু ইদানিং আর পুজোর প্ল্যান করেন না সোনামণি। কোথাও কোনো অনুষ্ঠান থাকলে যান, নয়তো বাড়িতেই কাটান তিনি। যদিও পৈতৃক ভিটা মালদহ আর যাওয়া হয়ে ওঠেনা। তবে পুজোয় না বেরোলে কি হবে, অভিনেত্রী পোশাক নিয়ে বেশ এক্সাইটেড। ইতিমধ্যেই পুজো উপলক্ষে এক গুচ্ছ শাড়িও কিনে ফেলেছেন। কিনে ফেলেছেন ম্যাচিং গয়নাও। যদিও প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরোবেন কি না সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তবে কোথাও যান বা না যান পুজোর সময় স্ট্রিট ফুড খেতে বেরোবেনই।
