সোনু সুদ,বলিউড,টলিউড,ইন্ডাস্ট্রি বিতর্ক,বিনোদন,গসিপ,Sonu Sood,Bollywood,Tollywood,Entertainment Industry controversy,Gossip

Moumita

জঘন্য বলিউডে কাজের থেকে দক্ষিণী সিনেমাতে ভিলেন হওয়া অনেক ভালো, বিস্ফোরক জবাব সোনু সুদের

বলিউড নাকি টলিউড! আপাতত এই তর্জায় সরগরম বিনোদন জগত। কারও কাছে বলিউড এগিয়ে তো কারও কাছে আবার টলিউডই সেরা। কন্নড় অভিনেতা সুদীপ কিচ্চার টুইট থেকে এই বিতর্ক শুরু হলে তাতে আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে অজয় দেবগনের মন্তব্য। বিতর্কের রেশ বজায় রেখে একের পর এক সেলিব্রেটির নাম জুড়েছে এই তালিকায়। মাঝে কিছুদিন তরজা থামলেও সম্প্রতি ছাই চাপা আগুনে ঘি ঢেলেছে অভিনেতা সোনু সুদের মন্তব্য।

   

কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তামিল ছবির হাত ধরেই। পরবর্তীকালে কাজ করেছেন বহু তেলেগু ছবিতেও। যদিও বর্তমানে বলিউড, টলিউড দুই জায়গাতেই তার সমান রাজত্ব তার। করোনা কালেও তিনি দেবদূত হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাধারণ মানুষের পাশে। বরাবরই বিতর্ক থেকে গা বাঁচিয়ে সতর্ক ভাবে কাজ করে এলেও, সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রি বনাম ইন্ডাস্ট্রির যুদ্ধে এ বার নাম লেখালেন সোনু সুদও।

মুম্বই সংবাদমাধ্যমের কাছে সোনুর স্পষ্ট দাবি, এক সময়ে স্রেফ পরিচিতির তাগিদে বড় বাজেটের বলিউড ছবিতে মুখ দেখাতেন অভিনেতারা। বহু ক্ষেত্রে সে ছবি তাঁদের জনপ্রিয়তা দেওয়া দূরে থাক, দর্শক মনে দাগই কাটত না চরিত্র। সেখানেই এখন মুশকিল আসান হয়ে উঠেছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি।

সোনুর দাবি,“আমি সবসময়ই চিত্রনাট‍্য নিয়ে একটু খুঁতখুঁতে। সে তামিল, তেলুগু ছবিই হোক বা হিন্দি। জঘন‍্য হিন্দি ছবি করার থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। নয়তো এমন একটা সময় আসে যখন মনে হয় যে শুধু একটা বড় ছবিতে মুখ দেখাতে হবে বলেই অভিনয় করছি। দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রি ওই পরিস্থিতি থেকে আমাকে দূরে রাখে।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আচার্য ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর তাকে দেখা যাবে আসন্ন ছবি পৃথ্বিরাজে, এই সিনেমায় কবি চাঁদ বরদাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনু।

উল্লেখ্য, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বলিউড বনাম টলিউড বিতর্কে সরব হয়েছিলেন সোনু। সেবারের ভাষা বিতর্কে সোনু বলেন যে, শুধুমাত্র হিন্দিই ভারতের রাষ্ট্রভাষা নয়। ভারতের একটাই ভাষা, রে ভাষার নাম বিনোদন। সে আপনি কোন ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছেন তাতে কিছু যায় আসেনা। মানুষকে বিনোদন দিতে পারলে মানুষও তার প্রত্যুত্তরে ভালোবাসা এবং সম্মান দেবে। ভুলে গেলে চলবেনা যে, জনসাধারণের কাছে কেবল ভালো সিনেমা গুলিই গ্রহণযোগ্য।

এছাড়াও দক্ষিণী ছবির প্রশংসায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে তাকে। সাম্প্রতিক কালের দক্ষিণী ছবিগুলি বক্স অফিসে যেভাবে তান্ডব করেছে তাতে তিনি আপ্লুত। তিনি এও বলেছেন, KGF-2 এর পর হিন্দি ছবির দুনিয়ায় বদলাতে পারে অনেক কিছুই, বদলে যেতে পারে হিন্দি সিনেমার ধরণও।