মিষ্টি বৌদির সন্তান নিয়ে এতদিন টানাপোড়েন চলছিল খরকুটো সিরিয়ালে। একরত্তি শিশুকে নিয়ে বেশ কিছু মাস ধরে টানাপোড়েনের পর আপাতত শান্ত রয়েছে পরিবেশ। গুনগুনের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া থেকে আরম্ভ করে তাকে ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত বেশ কয়েক মাস ধরে চলছিল এই সিরিয়াল। ফের গুনগুন ফিরে আসাতে পরিবারে খেলে গেছে খুশির হাওয়া।
এবার বাবিনের কলিগ গুনগুনের দিদি তিন্নি অশান্তি বাড়াতে চলেছে পরিবারে। বিজয়ের দিন বাবিনের হাত থেকে সিঁদুর গিয়ে পড়ে তিন্নির মাথায়। তারপরেই বাবিনের জন্য তিনি পাগল হয়ে যায়। এই সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না গুনগুন এবং তা খুবই স্বাভাবিক। নিজের দিদির এহেন ব্যবহার দেখে যতটা বিস্মিত গুনগুন ততটাই অসহায় সে।
তবে গুনগুন অবাক হয়ে যখন সৌজন্য মিথ্যা কথা বলে তাকে। গুনগুনকে সৌজন্য জানায় যে সে ইনস্টিটিউটে আছে। কিন্তু পটকা এন্ড গ্রুপ গুনগুনকে নিয়ে যখন ইনস্টিটিউটে পৌঁছালো, তখন বুঝতে পারে পুরো কথাই মিথ্যা। এমনকি ফোনেও বাবিন বারবার বলতে থাকে, সে কোথায় আছে জানাতে পারবে না কাউকে। সন্দেহ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।
কিন্তু শেষমেশ যখন তিন্নির বাড়ি গিয়ে তিনি বেডরুমে সৌজন্যকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় খুঁজে পায় গুনগুন, তখন নিজেকে স্থির রাখতে পারে না। সবকিছু দেখে হতবাক গুনগুন বাড়ি ফেরার কথা বলে। বাবিন গুনগুনের সঙ্গে একা কথা বলার চেষ্টা করলেও কথা বলতে দেয় না বাড়ির কেউ। পরিবারের সকলকে এমনকি স্ত্রীকে মিথ্যা কথা বলার জন্য ভাবিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
এমন পরিস্থিতি দেখে অস্বস্তিতে পড়েছেন দর্শকরাও। এমন একটি সুন্দর জুটিকে নষ্ট করে দেবার জন্য আরও একবার কটাক্ষে শিকার হতে হয়েছে লেখিকা লীলা গঙ্গোপাধ্যায়কে। এমনকি ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন অনেকে