‘ভালো আছো তো সৌমিত্র কাকু?’ জন্মবার্ষিকীতে প্রিয় মানুষের স্মরণে আবেগঘন বার্তা প্রসেনজিতের

আজ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ৮৭ তম জন্মদিন। কিন্তু তিনি আর নেই, চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। কিন্তু বাঙালী তথা সমগ্র সিনেপ্রেমীদের মনে থেকে যাবেন সারাজীবন। তার অসাধারণ সৃষ্টির মধ্যেই চিরকাল বেঁচে রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার মৃত্যু অভিনয় জগতের বিরাট ক্ষতি, তা মনে করেন তাবড় তাবড় অভিনেতা থেকে সাধারণ মানুষ। আজ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম বার্ষিকীতে বাঙালির মন ভারাক্রান্ত। তার জীবনের এই বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন টলিউডের নামকরা সব সেলিব্রিটিরা।

সেই তালিকায় রয়েছেন, ‘টলিউডের ইন্ড্রাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। তার জন্মদিনে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভালো আছো তো সৌমিত্র কাকু?আমি নিশ্চিত ওখানেও সবাইকে তোমার ফাইটিং স্পিরিট শিখিয়ে দিয়েছ। প্রণাম নিও’। এই ক্যাপশন দিয়েই বুঝেই দিয়েছেন তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কতটা কাছের মানুষ ছিলেন। অভিনেতা হিসাবে নয়, নিজের খুব কাছের মানুষ হিসাবে সৌমিত্রকে পেয়েছিলেন বুম্বাদা।

এই মানুষটির সাথেই একসঙ্গে ৩৯ টি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ। কখনো বাবা, কখনো পরিচিত কেউ এরকম নানা চরিত্রে অভিনয় করে বাঙালী দর্শককে মাতিয়ে রেখেছিলেন এই জুটি। তার এই মৃত্যু প্রসেনজিতের কাছে ঠিক অভিভাবক হারানোর মতোই। তাই তার এই বিশেষ দিনে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন বুম্বা দা। ৬০ বছরের বেশি সময় অভিনয় জীবনে ৩০০-র বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। একইভাবে সমান তালে কুড়িয়েছেন বাণিজ্যিক সাফল্য এবং সমালোচকদের প্রশংসাও।

১৯৫৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’। সেই সময় বাংলা ফিল্ম জগত একপ্রকার আবিষ্কার করেছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। সত্যজিতের ছবিতে তিনিই প্রথম ফেলুদা। তার সেই চুরুটের টান থেকে আইকনিক স্টাইল বাঙালি যুবকের কাছে একমাত্র আইডল ফেলুদা তিনি। তবে শুধু ফেলুদা চরিত্র নয়, যে কোনো চরিত্রেই দাপিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। বারবার প্রমাণ করেছেন তার অভিনয়ের দক্ষতা। আজ সৌমিত্র চ্যাটার্জির জন্মবার্ষিকীতে Newzshort-এর পক্ষ থেকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রমাণ।

Papiya Paul

X