Srabanti

Moumita

তড়তড়িয়ে এগোচ্ছে ‘শ্রাবন্তী’র কেরিয়ার, দেবী চৌধুরানীর পর নতুন চ্যালেঞ্জ, প্রথমবার ডবল রোলে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে

কথায় আছে, ভগবান যাকে যখন দেন তখন উজাড় করেই দেন। মাঝখানে বেশ অনেকটা সময় কোনো নজরকাড়া প্রোজেক্টে দেখা যায়নি শ্রাবন্তীকে (Srabanti Chatterjee)। তবে এবার পরপর দুটো বড় প্রোজেক্ট তার হাতে। ‘দেবী চৌধুরানী’র (Devi Chowdhurani) কথা তো আগেই শুনেছিলেন, আর এবার রাজর্ষি দে-র ‘সাদা রঙের পৃথিবী’তেও (Sada Ronger Prithibi) মূখ্য ভূমিকায় তিনি।

   

আর তাও আবার দ্বৈত চরিত্রে। একদিকে অভিনয় করবেন ইতিবাচক মূখ্য চরিত্রে অপরদিকে মূল খলনায়িকার চরিত্রেও তিনিই থাকছেন। শ্রাবন্তী ছাড়াও ছবিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে অভিনয় করছেন, অরিন্দম সেন, সৌরীসেন, দেবলীনা, ঋতব্রত প্রমুখ।

পাশাপাশি জানিয়ে রাখি, এই ছবির হাত ধরেই অভিনয় জগতে পা রাখছেন পুরভোটে পরপর দুই বারের বিজেতা কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত ছবির গল্প আঁকা হয়েছে, বর্তমান দিনের বিধবাদের অবস্থান নিয়ে। পরিচালকের কথায়, ‘বিভিন্ন এনজিও তাদের সামনে রেখে বহু টাকা তো জোগাড় করে, কিন্তু সেটা বিধবাদের উন্নতির কাজে লাগেনা।’

ছবিতে দেখা যাবে, মুক্তি মন্ডপ নামের একটি বিধবা আশ্রম। আভা সেন ওরফে অনন্যা এই আশ্রম চালান। এদিকে তার স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন অরিন্দম। বাইরে তিনি সংসারত্যাগী হলেও আদতে একজন নারীলোভী মানুষ। এদিকে শ্রাবন্তীর দুটি চরিত্রের নাম হল ভবানী ও শিবানী।

Srabanti Chatterjee

একদিকে ভবানী যেখানে সরাসরি নারী পাচার কান্ডের সাথে জড়িত, অন্যদিকে শিবানী চায় এই গোটা চক্রের পর্দা ফাঁস করতে। এইরকম একটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে শ্রাবন্তীকে ভাবা কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক জানান, ‘শ্রাবন্তী ক্ষমতাসম্পন্ন একজন অভিনেত্রী। বিভিন্ন ছবিতে ওকে মিষ্টি নায়িকা হিসেবে দেখা গেছে। সেখান থেকে বের করে অন্যভাবে বার করে আনব দর্শকদের সামনে।’

এই প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমার জীবনে বিশেষ তাড়া নেই। জানি সবটা সময়ের হাতে। সময় মত সুযোগ পেয়েছি। আর আমি সবসময় নিজেকে অভিনেত্রী ভেবেছি। দর্শক আমায় নায়িকা বানিয়েছেন। এবার তারা আমাকে ভিন্ন রূপে দেখতে পাবেন। এই চ্যালেঞ্জ গুলোই তো অভিনেতাদের সম্বল।’