‘খড়কুটো’র সৌগুন জুটিকে মানুষ আরো একবার কাছে পেয়েছে, সৌজন্যে স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘বালিঝড়’ (Balijhor)। রাজনীতির আঙ্গিকে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী নিয়ে কামব্যাক করেছে ‘সৌগুন’ জুটি। মানুষ বেশ পছন্দও করছে স্রোত-ঝোড়া-মহার্ঘ্যর জীবনের চড়াই উৎরাইকে।
যদিও এই সিরিয়ালে ঝোড়া অর্থাৎ তৃণা কিন্তু মহার্ঘ্য মানে কৌশিককে ভালোবাসেনা। বরং সে মন দিয়ে বসেছে স্রোত অর্থাৎ ইন্দ্রাশিষকে। তবে তার বাবা তথা দাপুটে রাজনীতিবিদ সমুদ্র সেনের চাপে পড়ে বিয়ে করতে হয়েছে মহার্ঘ্যকেই। আর তারপর থেকেই বদলে গেছে এই তিন জনের জীবন।
আসলে চাপে পড়ে মহার্ঘ্যকে বিয়ে করেছে বটে, কিন্তু তাকে মন দিতে সে পারেনি। তবে সময়ের সাথে থাকতে থাকতে তাদের মধ্যে একটা সুন্দর বন্ধুত্ব কিন্তু গড়ে উঠছে। এখন তো সমস্ত কাজেই মহার্ঘ্যকেই ভরসা করে ঝোড়া। এমনকি স্রোত মহার্ঘ্যকে অপমান করতে এলে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় সে।
এই যেমন সাম্প্রতিক অতীতে দেখানো হয়েছে, এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গেছিল এই নব দম্পতি। যদিও ঝোড়ার উদ্দেশ্য ছিল স্রোতের সাথে দেখা করা। আর তার এই উদ্দেশ্যকে সফল করতে সাহায্য করে মহার্ঘ্য নিজে। তবে স্রোত তো সেসব বুঝতে নারাজ। সে মহার্ঘ্যকে তো ভুল বোঝেই, তার সাথে অপমান করে ঝোড়াকেও।
এই পরিস্থিতিতে ঝোড়ার এটাই মনে হয় যে, স্রোত কি আদৌ তাকে ভালোবেসেছিল? যদিও মহার্ঘ্য তাকে বোঝায়, কিছুদিন পর সব নিশ্চয় ঠিক হয়ে যাবে। এসবের মধ্যেই গাঢ় হচ্ছে মহার্ঘ্যর প্রতি ঝোড়ার ভরসা। তাছাড়া ‘বালিঝড়’এর বেশিরভাগ দর্শকই চান স্রোতকে ভুলে মহার্ঘ্যকে যেন স্বামী হিসেবে মেনে নেয় সে।
আর ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক ট্র্যাক দেখে মনে হচ্ছে, দর্শকদের এই ইচ্ছেই বোধহয় পূর্ণ হবে এবার। এই যেমন, পার্টি থেকে ফিরে মহার্ঘ্য অসুস্থ হয়ে পড়লে সারা রাত সেবা করে তাকে সুস্থ করে তুলল ঝোড়া। ডাক্তার ডেকে ওসুধও কিনে আনলো সে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, স্রোত ফোন করে আবার তাকে অপমান করতে চাইলে, ঝোড়া তো ফোন করতেই মানা করে দেয়। এখন দেখার বিষয়, আগে কোন দিকে মোড় নেবে এই তিনজনের গল্প!