বাংলা টেলিভিশনর ইতিহাসের অন্যতম সফল ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। TRP তালিকায় সবসময় উপরের দিকেই থাকতো এই ধারাবাহিকের নাম। এমনকি ৩০ সপ্তাহেরও বেশি বার TRP টপার হয়েছে এই সিরিয়াল। নিখিল-শ্যামার রসায়নে মানুষ এতোটাই বুঁদ হয়ে গিয়েছিলো যে, জি বাংলার পর স্টার জলসাও এবার এই জুটির ম্যাজিককে কাজে লাগাতে চাইছে।
খুব শীঘ্রই স্টার জলসার পর্দায় এক নতুন ধারাবাহিক নিয়ে আসতে দেখা যাবে এই জুটিকে। ইতিমধ্যেই চলে এসেছে ধারাবাহিকের ট্রেলার এবং প্রোমো। ট্রেলার দেখে যতটুকু বোঝা যাচ্ছে তা হল বাংলা মিডিয়ামের এক গ্রাম্য ছাত্রী শহরের একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করতে আসবেন। ট্রেলার দেখে মোটামুটি খুশিই ছিলেন দর্শকরা। কিন্তু গোল বেঁধেছে নতুন প্রোমো আসতেই।
প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে গ্রামের মেয়ে ইন্দিরা ইন্টারভিউ দিতে পৌঁছে গেছে শহরের সবচেয়ে নামি স্কুলে। তার বাংলা মিডিয়ামে পড়া নিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে বেশ ভালো রকম হ্যাটা করা হয় তাকে। অপমানের সাথে সাথে তাকে দেওয়া হয় কঠিন চ্যালেঞ্জ। ক্লাস নাইনের বেপরোয়া ছাত্রছাত্রীদের সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ইন্দিরাকে। আর এরপরের ঘটনা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ সবার।
ক্লাসে গিয়ে প্রথমেই বাংলা ছড়া কেটে ছাত্রছাত্রীদের চুপ করিয়ে দেয় সে। আর এরপরের ঘটে অদ্ভুত ঘটনা। এরপর গোটা ক্লাসকে সে বাংলায় ক্লাস করাতে থাকে। যেটা কিনা একপ্রকার অসম্ভব একটা ব্যাপার। কারণ সাধারণত এইসব স্কুলে ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় ক্লাস করানোর অনুমতি থাকেনা। আর এই কারণেই দর্শকরাও বিষয়টি ঠিক মেনে নিতে পারছেননা।
পাশাপাশি নায়িকার সাজপোশাক নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে অনেকেই। উচ্চশিক্ষিতা একজন মেয়ে হয়েও শাড়ি পরে মাথার দুদিকে বেনি ঝুলিয়ে স্কুলে এসেছে ইন্টারভিউ দিতে। সাধারণত আজকের দিনে গ্রাম হোক বা শহর কোনো জায়গার মেয়েদেরই আর এরকম সাজপোশাকে দেখা যায়না। সেখানে এই ধরনের সাজপোশাক একটু বোকাসোকা তো বটেই সাথে বিরক্তিকরও।
[videopress yRq2piNh]
প্রোমো দেখে নেটিজনরা এতটাই খেপেছে যে কেউ কেউ তো বলেছে, ‘এই দফায় স্টার জলসার সিরিয়ালে গাঁজার মাত্রাটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছে।’ প্রোমোতেই এমন গাঁজাখুরি জিনিস তাহলে মূল গল্পে কী হবে? প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। অনেকে তো এটাও বলেছে, ‘যতই ইংরেজি-বাংলা মিডিয়াম নিয়ে তরজা চলুক না কেন, শেষমেষ সেই উড়ন্ত সিঁদুর কিংবা মালায় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের নাক উঁচু নায়কের সঙ্গে সেই গেঁয়ো বাংলা মিডিয়াম শিক্ষিকার বিয়েটা হয়েই যাবে!’