Supreme Court on Aadhar Card as Proof for Date of Birth

জন্ম প্রমাণপত্র নয় আধার কার্ড, বিরাট রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

পার্থ মান্নাঃ বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় ডুকুমেন্টের কথা বলতে গেলেই সবার আগে মাথায় আসে আধার কার্ডের কথা। জন্মের তারিখ থেকে শুরু করে ঠিকানা সবই লেখা রয়েছে এই কার্ডে। তাই ঠিকানার প্রমাণপত্র থেকেই পরিচয়পত্র হিসাবে প্রায় সর্বত্রই আধার কার্ড ব্যবহৃত হত। এমনকি সরকারি সুবিধা হোক বা ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সব জায়গাতেই অত্যাবশ্যক হয়েগিয়েছে আধার। তবে এবার এই আধার কার্ড নিয়ে বড়সড়  খবর এল সোজা সুপ্রিম কোর্ট থেকে।

UIDAI নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা

বেশ কিছুদিন আগেই জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে আধার কার্ডকে গ্রাহ্য করা হবে না জানিয়েছিল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা EPFO। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল উপভোক্তারা নিজেদের জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে আধার কার্ড সাবমিট করছিলেন। অথচ ২০১৬ সালের আধার আইন অনুযায়ী এটিকে জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসাবে ধরা যায় না। সেই হিসাবেই EPFO নিজেদের  নির্দেশিকা জারি করে। তাই এবার এই বিষয়নিয়ে নির্দেশিকা জারী করল সুপ্রিম কোর্ট।

আধার জন্ম প্রমাণপত্র নয় জানাল সুপ্রিম কোর্ট!

গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও ঊজ্জ্বল ভুঁইয়া আধার কার্ড নিয়ে রায় দিয়েছেন। তাঁরা জানান আধার কোনো মানুষের জন্মের তারিখের প্রমাণপত্র হতে পারেনা। কিন্তু হটাৎ কেন এমন রায়? জানা যাচ্ছে মোটর অ্যাকসিডেন্ট ক্লেম ট্রাইবুনালে একটি মামলা উঠেছিল। যেখানে জন্মতারিখের প্রমাণ হিসাবে আধার কার্ডকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশ কোর্টের তরফ থেকে। কিন্তু ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪০০ থেকে কমিয়ে  ৯ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩৬ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপরেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতের পরিবারের লোকজন।

সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় জানাল আধারকার্ডনি বরং দুর্ঘটনায় মৃতদের ক্ষেত্রে স্কুলের শংসাপত্রকে ভরসা করা প্রয়োজন। এছাড়াও এদিন ২০১৫ সালের জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৯৪ নং ধারার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু  হলে নূন্যতম ক্ষতিপূরণ ৫০,০০০ টাকা। তবে সংসারে যে ব্যক্তি মারা গিয়েছে তার যোগদান থেকে বয়সের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়। এরপর আদালত নির্দেশ দিলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সেই ক্ষতিপূরণ জমা করতে হয়।

Partha Sarathi Manna

Partha Sarathi Manna

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক, রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে অ্যাডভান্স মাল্টিমিডিয়া ডিগ্রি। পড়াশোনা শেষে বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়াতে কর্মজীবন শুরু ২০২০ সালে। বিনোদন, লাইফস্টাইল, টেকনোলজি থেকে ভ্রমণ সম্পর্কে লিখতে দক্ষ। তবে পড়াশোনা বিষয়ক লেখালিখিতেও বেশ আগ্রহী। কাজের বাইরে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখতে, ঘুরতে যাওয়াই নেশা মেল - [email protected]

X