পার্থ মান্নাঃ দীর্ঘদিন ধরেই আদালতের লম্বা ছুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তাই এবার বদলে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের নাম। এবার থেকে গ্রীষ্মের ছুটি নয় বরং ‘আংশিক আদালত কার্য দিবস’ হিসাবে জানা যাবে এই সময়টিকে। একইসাথে অবকাশকালীন বিচারকের নামও বদলে যাচ্ছে। মূলত ২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী এই গ্রীষ্মের অবকাশ চলত যেটা সংশোধন করা হয়েছে।
কত দিন হবে সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ?
নোটিফিকেশন অনুযায়ী, আংশিক আদালত কার্য দিবসের মোট ছুটির দিন চিফ জাস্টিস ঠিক করবেন। যেটা অফিসিয়াল গেজেটও প্রকাশিত হবে। রবিবার বাদে সর্বোচ ৯৫ দিন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হতে পারে। তবে সবটাই থাকবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের চিফ জাস্টিসের হাতে। আরও জানা যাচ্ছে, আংশিক অবকাশের সময় বা ছুটির সময় চিফ জাস্টিস গুরুত্বপূর্ণ মামলার জন্য এক বা একাধিক জাজকে নিযুক্ত করতে পারেন।
অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন বন্ধ, থাকবে না অবকাশকালীন বিচারপতি
আদালতে গ্রীষ্ম ও শীতের অবকাশ বা ছুটি জারি করা হয় ঠিকই। তবে এই সময়েও আদালত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে না। ছুটির সময়েও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হয়। এর জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ তৈরী করা হত। তবে এবার থেকে আর সেটা হবে না। তাই সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আসন্ন গরমের ছুটির সময় ২৬ শে মে ২০২৫ থেকে ১৪ই জুলাই ২০২৫ সময় কোনো অবকাশকালীন বেঞ্চ বা অবকাশকালীন বিচারপতি নয় শুধুমাত্র বিচারপতিই বলা হবে।
ছুটিতেও কাজ করেন বিচারপতিরা
এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, ছুটিতেও নিজেদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন বিচারকেরা। এই সময় বিচারকেরা কোথাও ঘুরতে যান না। বরং রবিবারেও কাজ করেন, হাইকোর্টের কাজ বা অইং সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকেন। যারা হাইকোর্টের ছুটি নিয়ে সমালোচনা করেন তারা হয়তো জানেনই না যে রবিবারেও আদালত কাজ করে।