মানুষ কোন ধারাবাহিক কত বেশি দেখছে তা জানার উপায় একমাত্র টিআরপি। আর টিআরপি তালিকায় পিছিয়ে পড়লেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ছেঁটে ফেলছে বাংলা সিরিয়ালগুলিকে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যাবে যে, বেশ জোরসোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে এটা নিয়ে। ভালো টিআরপি না এলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা সিরিয়াল। ‘বৌমা একঘর’, ‘খড়কুটো’, ‘মন ফাগুন’ এর মতো কিছু ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে স্টার জলসা।
সম্প্রতি এই তালিকায় নতুন সংযোজন ‘খেলাঘর’। বেশকিছুদিন ধরেই টিআরপি তালিকায় নিচের দিকে ছিলো এই সিরিয়ালটি। অবশেষে আজ এই সিরিয়ালটির পথ চলাও বন্ধ হলো। গত কালই ছিলো ধারাবাহিকের শেষ শুটিং। যদিও এখনও ধারাবাহিকের দশটি পর্বের টেলিকাস্ট বাকি রয়েছে।
গত দুবছর ধরে এই ধারাবাহিকের মাধ্যমেই সকলের ড্রইংরুমের অংশ হয়ে উঠেছিল সৈয়দ আরোফিন ওরফে শান্টু এবং স্বীকৃতি মজুমদার ওরফে পূর্ণা। শান্টু-পূর্ণার দুষ্টু মিষ্টি প্রেম কাহিনীতে মুগ্ধ ছিলো অনেক বাঙালিই। বড়োলোক বাড়ির মেয়ে পূর্ণার, শান্টু গুন্ডার বিয়ে থেকে প্রেম সবকিছুই বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে দর্শকমহল।
তবে ঐ যে, টিআরপি-এর বালাই বড়ো বালাই। আর সেকারণেই বন্ধ করে দেওয়া হলো ধারাবাহিকটির সম্প্রচারণ। পরের সপ্তাহ থেকে থাকবেনা শ্যুটিংয়ের তাড়া, থাকবেনা কল টাইম, মেক আপ রুমের খুনসুটি আর লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশনের উত্তেজনা। সবে মিলিয়ে বড্ডো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে ‘খেলাঘর’ পরিবার।
সিরিয়াল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নায়ক সৈয়দ আরোফিন জানান, “টানা দু’বছর এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত। মনখারাপ তো লাগবেই। শেষ দিনের উদ্যাপনের চেয়ে মনখারাপের পরিমাণ অনেকটা বেশি। আগের ধারাবাহিকের জন্যও বিপুল ভালবাসা পেয়েছিলাম। এখন ভয় হচ্ছে দুটি হিট ধারাবাহিকের পর যদি তৃতীয়টা দর্শকের পছন্দ না হয়!”
যদিও অন্যান্য ধারাবাহিকের চেয়ে বেশিদিন ধরে সম্প্রচারিত হয়েছে শান্টু পূর্ণার ‘খেলাঘর’। তবে টিভির পর্দায় আর এই জুটির দেখা মিলবে না শুনে মন খারাপ অনুরাগীদের। তবে এইদিন আরোফিন একটা সুখবরও দিলেন অনুরাগীদের জন্য। ‘খেলাঘর’ শেষ হলেও চিন্তা নেই। শান্টু-পূর্ণা নামে না হলেও খুব শীঘ্রই নতুন কোনো নামে জুটি বাঁধতে চলেছে তারা। কোন ধারাবাহিকে ফিরবেন তারা সে নিয়ে কিছু না জানা গেলেও আবার যে তাদের পর্দায় দেখা যাবে সেটুকু নিশ্চিত।