বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মহিলা তিনি। ৭ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা ২৪ বছর বয়সী এই মহিলা জীবনে প্রথমবার বিমানে চড়েন। সম্প্রতি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সান ফ্র্যান্সিস্কো পৌঁছন রুমেসা গেলগি নামক সেই মহিলা। তবে এহেন উচ্চতা নিয়ে এয়ারলাইনে ট্রাভেল করা এতটাও সহজ নয় বোধহয়। সম্প্রতি নিজের এই ট্রাভেলিং অভিজ্ঞতা নিয়েই বিস্তারিত বিবরণ দিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, রুমেসা গেলগি নামক এই মহিলার যাত্রাপথ সুগম করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রহণ করা হয় এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে। যাতে তার কোনো সমস্যা না হয় সেই কারণে ফ্লাইটের ছয়টি ইকোনমি সিট সরিয়ে তার জন্য একটি স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আর এরপর ১৩ ঘন্টার দীর্ঘ যাত্রাপথ বেশ আরামেই কাটিয়ে দেন তিনি।
রুমেসা গেলগির বিষয়ে বললে, তিনি নিজের শৈশবকালে উইভার সিনড্রোম নামক বোন ওভারগ্রোথ অসুখে আক্রান্ত হন। ফলস্বরূপ, এখন ঠিকভাবে হাঁটাচলাও করতে পারেননা তিনি। চলাফেরার জন্য একমাত্র হুইল চেয়ারই ভরসা তার। তবে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে যাত্রার অভিজ্ঞতা নিয়ে বেজায় খুশি রুমেসা। তিনি কখনো ভাবতেও পারেননি এয়ারলাইন্সে যাত্রা এতোটা সুখকর হতে পারে!
নিজের এই দূর্দান্ত অভিজ্ঞতার কথা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘এটি আমার প্রথম ফ্লাইট ছিল। কিন্তু একদমই শেষ ফ্লাইট নয়। এবার থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমানে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যেতে খুবই আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করব আমি।’ পাশাপাশি প্রত্যেক বিমান কর্মীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতেও ভোলেননি তিনি।
রুমেসা গেলগির অ্যাকাউন্টে গেলেই দেখতে পাবেন, কীভাবে পুরো যাত্রাটির নিখুঁত বর্ননা করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, রুমেসা এইমুহুর্তে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টর উপর কাজ করতে চান। পাশাপাশি গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সঙ্গেও তিনি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন তিনি। এর আগে সাল ২০১৪ তে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কিশোরীর খেতাব দেয় তাকে।
এরপর সাল ২০২১-এ সবচেয়ে লম্বা মহিলার খেতাব দেওয়া হয় তাকে। পাশাপাশি সবচেয়ে লম্বা হাত, লম্বা আঙুল ও সবচেয়ে লম্বা পিঠের রেকর্ডও চলে যায় রুমেসা গেলগির কাছে। সবে মিলিয়ে গেলগির এই পোস্ট ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এই বিনম্র ব্যবহারে দারুন উচ্ছাস প্রকাশ করেছে সবাই।