
২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিলো আমির এবং দর্শিল সাফারি অভিনীত ‘তারে জমিন পর’। আমির অভিনীত সেরা ছবি গুলির মধ্যে অন্যতম এই সিনেমা, মা আজও সমান জনপ্রিয় রয়ে গেছে দর্শকমহলে। আমির ছাড়াও এই ছবির অপর একটি মূখ্য চরিত্র হলো ঈশান আওয়াস্তি। মাত্র ১০ বছর বয়সে এক ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত ঈশানের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলো দর্শিল সাফারি। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১৫ টা বছর। দর্শিল আর সেই ছোট্ট ঈশান নেই। বছর ২৫এর রীতিমত যুবক হয়ে উঠেছে সে। সুঠাম, সুপুরুষ চেহারার দর্শিলকে দেখলে মেলাতেই পারবেননা যে এই সেই ছোট্টো ঈশান।
সম্প্রতি দর্শিলের একটি ফটোশুটের কিছু ছবি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্পূর্ণ ভিন্ন লুকে ধরা দিয়েছেন তিনি। তার ছবি দেখে তো রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছে নেটপাড়া। আর সেই কারণেই এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শিল। ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হলুদ রঙের ফুল স্লিভ টি শার্টে সমুদ্রতীরে পোজ দিচ্ছেন তিনি, পেছনে দেখা যাচ্ছে পড়ন্ত সূর্যের রক্তিম আভা। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।
View this post on Instagram
এই হ্যান্ডসাম হাঙ্কই যে বছর দশেকের ছোট্ট ঈশান তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেননা মানুষজন। সোশ্যাল মিডিয়া এখন একে অপরকে ঈশানের বড়ো হওয়ার খবর জানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ তো আবার বিষ্ময় প্রকাশ করে কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘ঈশান অবস্তি কত বড়ো হয়ে গেছে’! তো কেউ আবার লিখেছে, ‘আপনার ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল’। আরেক ইউজার লিখেছেন, ‘ভাই আপনি কত বড়ো হয়ে গেছেন’!
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট অ্যাকটিভ থাকেন দর্শিল। ‘তারে জমিন পর’ ছবির পর ইন্ডাস্ট্রিতে আর সেভাবে নজরে না এলেও একজন বড়ো অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। এই মুহূর্তে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং ব্র্যান্ডের স্পন্সর হিসেবে কাজ করেন তিনি। এছাড়াও ‘ঝলক দিখলা যা- সিজন 5’ নামক রিয়েলিটি শো’তেও অংশগ্রহণ করেছিলেন দর্শিল। যাইহোক, ‘তারে জমিন পর’ ছবিতে মাত্র ১০ বছর বয়সেই আমির খানের মতো অভিজ্ঞ অভিনেতার সাথে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন দর্শিল। এইমুহুর্তে আবারও তাকে কোনো বড়ো প্রজেক্টে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে অনুরাগীরা।