শুধুমাত্র বলিউড না, টলিউডের তারকারাও নাম পরিবর্তন করে রুপোলি পর্দায় এসেছিলেন। সেই বহু বছর আগে থেকেই নাম পরিবর্তন করে বিনোদন জগতে পা রাখার রীতি চলে আসছে। সেই সময় ছেলেদের নামের পর কুমার ব্যবহার করতে বেশি দেখা যেত আবার মেয়েদের নামের পরে দেবী ব্যবহার করতেন অনেকে। আজকে টলিউডের এমন কিছুই জনপ্রিয় তারকাদের নাম পরিবর্তনের কাহিনী আপনাদেরকে জানাবো।
প্রথমেই রয়েছে উত্তম কুমারের নাম। বাংলার প্রথম সুপারস্টারের উত্তম নাম রেখেছিলেন তার মায়ের বাবা। কিন্তু উত্তমের মায়ের এই নাম পছন্দ হয়নি বলে তিনি আবার নিজে নাম রেখেছিলেন অরুণ। এই অরুন বড় হবার পর থিয়েটারে যোগ দিয়েছিলেন এবং তার পাশাপাশি ছোটখাটো চাকরি করতেন। তার প্রথম ছবি ‘মায়াদোর’ মুক্তি পাইনি। এরপরে অরুণ নাম পরিবর্তন করে উত্তম নামে নিজের অস্তিত্ব গড়ে তুলতে পেরেছিলেন বাংলার মহানায়ক।
রমা অর্থাৎ সুচিত্রা সেনের অভিনয়ের দিকে শখ থাকলেও খুব অল্প বয়সেই কলকাতার বাড়িতে বিয়ে হয়েছে তার। এককথায় ভাগ্যের জেরে তিনি পাবনা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। তবে রমার স্বামী দিবাকর সেন ও শ্বশুর কিন্তু রমাকে সমর্থন করতেন। এরপর ধীরে ধীরে টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়াতে প্রবেশ তার। নিজের অসাধারণ অভিনয় গুণের দ্বারা তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির চিরকালীন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।
এই সুচিত্রা সেনের মেয়ে মায়ের মতোই অভিনেত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। সুচিত্রার একমাত্র মেয়ে শ্রীমতীর বিয়ে হয়েছিল রাজপরিবারে। শ্রীমতি নাম ব্যবহার করতে সমস্যা ছিল তার। এরপর টলিউডে নিজের আধিপত্য বিস্তার করলেন মুনমুন সেন নাম নিয়ে।
কলকাতা আরেক ছেলে হলেন গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। যিনি নকশাল আন্দোলনের সময় নকশাল করা ছাত্র গৌরাঙ্গ পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন মুম্বাইতে। বাংলায় অভিনয়ের পর ধীরে ধীরে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী।
কলকাতার আরেক জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী হলেন কেদারনাথ ভট্টাচার্য। যদিও এই নামে তাকে কেউই চিনতে পারবেন না। নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে তিনি কলকাতা থেকে মুম্বাই এ পাড়ি দিয়েছিলেন। তার সুরের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিলেন সকল শ্রোতারা। এরপরে তার নাম পরিবর্তন করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিখ্যাত গায়ক কুমার শানু।