শখ এমনই এক জিনিস যার জন্য নিজেদের কষ্টার্জিত গাঁটের কড়ি খরচ করতেও পিছপা হইনা আমরা। ব্যক্তিবিশেষে এই শখ অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন। কারো থাকে বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগিয়ে বাগান করার শখ তো কারো আবার বিভিন্ন প্রকার খাবার খাওয়ার শখ। আবার কারো কারো শখ তো এমন হয় যে, সেসব ব্যাপার সাধারন মানুষের কল্পনাতীত। কয়েকদিন আগেই জাপানের এক ব্যক্তি এই শখের বশবর্তী হয়েই প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করে কুকুরের কস্টিউম পরে নিজের কুকুর হওয়ার শখ পূরণ করেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের রয়েছে ভিন্ন শখের বহর। কিন্তু আজ একজনের এমনই এক ‘অদ্ভূত শখ’ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যার ‘শখের’কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে সবার। জার্মানির এক মহিলা ট্যাটু পাগল। একরকম তার ট্যাটুর প্রতি অবসেশন নিয়েই এইমুহুর্তে খবরের শিরোনামে রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে জামা কাপড় পরতে তিনি এতটাই অলসতা বোধ করেন যে পোশাক পরার ঝামেলাকে চিরতরে দূর করতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন তিনি।
এবার ট্যাটু পাগলরা তো সারা দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে কিন্তু এনাকে নিয়ে আলাদা করে বলতে হচ্ছে কেন? আসলে বর্তমানে জার্মানি নিবাসী এই মহিলা রঙিন ট্যাটু দিয়ে ঢেকে রেখেছেন পুরো শরীর। আর সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ছবি ভাইরাল হতেই বিখ্যাত হয়ে যান তিনি। জানা যাচ্ছে তার নাম কার্স্টিন ট্রিস্টান, তার রয়েছে ট্যাটু আঁকার শখ। এ পর্যন্ত তিনি ট্যাটু বানাতে প্রায় ২৫ হাজার ডলার বা ২৪ লাখ টাকা খরচ করেছেন! বর্তমানে ট্রিস্টান তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আপলোড করেছেন বহু ছবি সেখানেরই কিছু ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে শরীরের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই তিনি বানিয়েছেন ট্যাটু। বেশ সুন্দর রঙিন ফুল, পাখি, প্রজাপতির নকশা রয়েছে সারা শরীর জুড়ে। বছর পাঁচেক আগে প্রথমবার ট্যাটু করলেও এরপর থেকে নিয়মিত ট্যাটু করিয়ে সারা শরীর ট্যাটুর মোড়কে ঢেকে দিয়েছেন তিনি। অবশ্য তার খুব কাছের মানুষরা জানাচ্ছেন যে, কার্স্টিন ট্রিস্টান নাকি খুবই অলস এইজন্যই সারা শরীরে ট্যাটু করিয়েছেন যাতে তাকে জামাকাপড় পরতে না হয়। এমনকি জামা কাপড় পরতেও নাকি বেশ কষ্ট হতো তার। এজন্যশরীরের সব অংশে রঙিন ট্যাটু বানিয়েছেন তিনি। ট্যাটু সম্পর্কে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এটা তার শখ, এই নিয়ে সারা পৃথিবী তার সম্পর্কে কি ভাবছে সে নিয়ে মোটেই চিন্তা করেননা তিনি।