সিনে দুনিয়ায় পা দিয়েই বেশ ভালো রকম নাম কুড়িয়েছেন লক্ষ্মী ছেলের উজান। আলোচোনা হোক বা সমালোচনা, তার নাম রয়েছে চর্চায়। একদিকে অ্যাকাডেমিক লাইনে সাফল্য অপরদিকে ‘লক্ষ্মী ছেলে’র ৫০ দিন অতিবাহিত হওয়ার সেলিব্রেশন। সিনেমার ৫০ দিন, খুশী ধরছে না উজানের। ছবির সাফল্যে রীতিমত আকাশে উড়ছেন তিনি।
টানা ৫০ দিন ধরে চলছে উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের লক্ষ্মী ছেলে। নিন্দা ভালোবাসা দুইই সমানতালে পেয়েছে ছবিটি। বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় প্রথমবার বড় পর্দায় কাজ করলেন অভিনেতা। প্রথম ছবিতেই মিলেছে অভিনয়ের প্রশংসাও। আর সম্প্রতি এই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন উজান।
প্রসঙ্গত ছবিতে আমির হুসেন নামক একটি চরিত্রে দেখা গেছে উজানকে। বিগত ৫০ দিন ধরে এই চরিত্রটার মধ্যেই বেঁচে রয়েছেন তিনি। অভিনেতা লিখেছেন, ‘আমার দর্শককে ধন্যবাদ। কিন্তু তার থেকেও বেশি কৃতজ্ঞ আমার মেকআপ ম্যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি। যিনি আমাকে এই রক্তাক্ত রূপ দান করেছিলেন। এরকম এক দৃশ্যে এত স্বতঃস্ফূর্তভাবে অভিনয় করতে পেরেছিলাম। ব্যাথাহীন রক্ত এবং অসুস্থতায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম।’
শুধু তাই নয়, ছবিতে আমিরের শেষ পরিণতি নাড়িয়ে দিয়েছিলো সিনেপ্রেমীদের। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গিয়ে যে তার এরকম অবস্থা হতে পারে তা ভাবতে পারেনি কেউই। সেই সমস্ত দর্শকদের জন্য তিনি লেখেন, ‘যারা আমায় ওভাবে দেখে দুঃখ পেয়েছিলেন- আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে অন্যায় এবং গোঁড়ামি যদিও খুন করতে পারে, মাথার খুলি ভেঙে দিতে পারে, এটি কখনই তার মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন টলি পাড়ার অভিনেতা উজান গঙ্গোপাধ্যায়। রেজাল্টও করেছেন দূর্দান্ত। কিছুদিন আগে সেই রেজাল্ট আনতেই লন্ডন পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিলেন জীবনের অন্যতম সেরা মুহুর্তের ছবি।