Papiya Paul

বাবা নামী পরিচালক, তবুও বলিউডে বারবার ব্যর্থ হয়ে আজ সফল অভিনেতা হৃত্বিক রোশন

বলিউডে সফলতা পাওয়া ওত সহজ কাজ নয়, অনেক পরিশ্রমের পরেই সফলতা পাওয়া যায়। ঠিক যেমন হৃতিক রোশন। বারবার ব্যর্থতার পরেও তিনি থেমে যাননি, নিজের নানা প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে রেখে আজও বলিউডে খানদের জোর টক্কর দিচ্ছেন তিনি। এমনকি বলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছে তার নাম। এই অভিনেতার মহিলা ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা প্রচুর।

   

আজ এই অভিনেতার বলিউডের সফর কেমন ছিল, সেটাই জানাবো। হৃতিককেই তাঁর হাতের ৬ টি আঙ্গুল এবং কথা বলার সমস্যার কারনে বহুবার অপমানিত হতে হয়েছিল। কিন্তুই তবুও তিনি থামেননি। তাঁর বাবা রাকেশ রোশন বলিউডের একজন সফল পরিচালক হওয়া সত্বেও তিনি হৃতিককে অন্য কোনো জীবিকা বেছে নিতে বলেছিলেন। তাঁর কথা বলার সমস্যার কারণে তাঁর বাবা তাকে ভালো করে পড়াশুনা করে অন্য কোনো পেশায় যেতে বলেছিলেন।

ছোটবেলায় কথা বলার সমস্যার জন্য তিনি ওরাল টেস্টের সময় শরীর খারাপের বাহানা করে পরীক্ষা দিতে যেতেন না। তবে পরবর্তীকালে ওরাল থেরাপির মাধ্যমেই ধীরে ধীরে নিজের কথা বলার সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন তিনি। ২০ বছর বয়সে অভিনয় শেখার জন্য, কিভাবে কাজ হয় তা বোঝার জন্য সহ পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ‘করণ-অর্জুন’সিনেমায় সহ পরিচালকের কাজ শুরু করেন।

এরপরেই ২০০০ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘ক্যাহোনা প্যার হে’। প্রথম ছবি সুপারহিট হয়। এই সিনেমাটির জন্য হৃতিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। তবে এই ছবির পর তিনি ২ বছর ধরে যে কটা ছবি করেন, সবগুলি ফ্লপ হয়ে যায়। এরপর প্রযোককরা তাকে দিয়ে সিনেমা করাতে প্রস্তুত ছিলেন না। এরপরেই তাঁর বাবার পরিচালিত ‘কোই মিল গ্যায়া’ সিনেমা মুক্তি পায়। যা সুপার ডুপার হিট হয়। এই সিনেমা দিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেন অভিনেতা।

এরপর ২০০৪ এবং ২০০৫ সালের সব সিনেমা ফ্লপ হয়। আবার ২০০৬ সালে কৃশ এবং ধুম২ বক্স-অফিসে দারুণ ব্যবসা করেন। কিন্তু তারপরে ৬ বছর আবার সেই ফ্লপ। আবার ২০১২ সালে মুক্তি পায় অগ্নিপথ। এই ছবি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করে। এই ছবির পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হৃতিককে। তাঁর অভিনীত কাবিল, ব্যাং ব্যাং, সুপার ৩০, ওয়ার সব ছবিগুলি বক্স অফিসে সুপারহিট হৈ। বারবার ব্যর্থতার পরেও যে এভাবে ফিরে আসা যায় তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ হৃতিক রোশন।