কেউ বলতো খামখেয়ালী আবার কেউ বা বলতো মেজাজী। আসলেই নিজের মেজাজে বাঁচতেন তিনি। মন চাইলে অসাধ্য সাধন করতে পারতেন আবার মন না চাইলেও তাঁকে দিয়ে কুটোটিও নড়ানো যেতোনা। আজ আমরা বলছি সুর সম্রাট ‘কিশোর কুমার’এর কথা।
‘কিশোর কুমার’ নয় থেকে নব্বই সকলেই এই নামটির সঙ্গে পরিচিত। দেশের গর্ব ছিলেন তিনি। শুধু ভালো গানই গেয়েছেন তা নয়, তিনি একজন ভালো পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকারও ছিলেন তিনি। তবে তাঁর মেজাজ ছিলো পাগলা ঘোড়ার মতো। যখন যেদিকে ইচ্ছে ছুটতো। আজ এই কিংবদন্তি মানুষটির জন্মবার্ষিকী। ৯৩ বছর পূর্ণ হলো তার জন্মের। দীর্ঘ কেরিয়ারে প্রায় ২০০০ টিরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি, যার মধ্যে তাঁর সেরা জুটি ছিলো সঙ্গীত শিল্পী আর ডি বর্মনের সাথে।
তবে এ ছাড়াও আরো একটি পরিচয় রয়েছে তাঁর। কিশোর কুমার ছিলেন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা অশোক কুমারের ভাই। যেটা কিশোর কুমার কখনোই কাজে লাগাননি। তিনি সবসময় নিজের পরিশ্রমে বিশ্বাস রাখতে পছন্দ করতেন। যার কারণে, তার কর্মজীবনের প্রথমার্ধে, তাকে বিভিন্ন পরিচালকের দুয়ারে ঘুরতে হয়েছিলো।
এইসব বিষয় কমবেশি সকলেই জানলেও খুব কম মানুষই জানেন যে, বাস্তব জীবনে ঠিক কতটা খামখেয়ালী ছিলেন তিনি। বাড়ির বাইরে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাখতেন রাতে লেখা থাকতো কিশোর কুমার হইতে সাবধান। এমনকি সাইন বোর্ডের এই কথাটির সত্যতা বোঝাতে পরিচালক এইচএস রাওয়ালের হাত কামড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
Nimতার সঙ্গে 563টি গান গেয়েছেন তিনি। খুব কম মানুষই জানেন যে কিশোর কুমার ছিলেন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা অশোক কুমারের ভাই। যেটা কিশোর কুমার কখনোই কাজে লাগাননি। কিশোর তার কর্মজীবনে ৮টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আসুন আমরা এই নিবন্ধটির মাধ্যমে কিশোর কুমারের 93তম জন্মবার্ষিকীতে আপনাকে তার পুরানো ছবিগুলি দেখাই।
তবে সবচেয়ে অবাক করা ছিলো তার স্বপ্নের বাড়িটি। তিনি এমন একটি বাড়ি বানাতে চাইতেন যার প্রতিটি ঘর থাকবে জলে ভর্তি। তার বিছানার পাশে একটি নৌকা বাঁধা থাকবে এবং সেই নৌকা করে তিনি একঘর থেকে আরেক ঘরে যাতায়াত করবেন। তিনি এর জন্য এক আর্কিটেক্টের সাথে যোগাযোগও করেছিলেন। যদিও তার এই স্বপ্নটি কখনো সত্যি হয়নি।