টলিউড,গসিপ,বিনোদন,ধারাবাহিক,টেলিভিশন,রাজা গোস্বামী,Tollywood,Entertainment,Gossip,Serial,Telivision,Raja Goswami

Moumita

‘আগে স্টুডিওতে ঢুকতে দিত না, এখন তারাই গাড়ির গেট খুলে দেয়’, ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন সকলের প্রিয় রূপাঞ্জন

বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম খ্যাতনামা নাম রাজা গোস্বামী। এক দশকেরও কিছু বেশি সময় আগে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। ২০১০ সালে স্টার জলসায় সম্প্রচারিত ‘ভালোবাসা ডট কম’ ধারাবাহিকের হাত ধরে সফর শুরু হয় তার। এরপর একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন রাজা। বড়ো পর্দাতেও দেখা মিলেছে অভিনেতার।

   

তবে আমরা যত সহজে একের পর এক ধারাবাহিকে তার দেখা পেয়েছি পর্দার ওপাশের গল্পটাও কি এতোটাই সহজ ছিলো? ‘ভালোবাসা ডট কম’ এর নায়ক রাজা আর ‘খড়কুটো’র পার্শ্ব চরিত্র রূপাঞ্জনের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। দিনকয়েক আগেই নিজের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আড্ডায় মেতেছিলেন রাজা।

নায়কের রোল থেকে পার্শ্ব চরিত্র এবং তাও আবার কমেডিয়ানের রোল। প্রথমটা একটু দোনামোনাতেই ছিলেন তিনি। তবে সহ অভিনেতা অম্বরিশ আচার্য এই বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যদিও প্রথমের এই দোনামোনা পুরোটাই পুষিয়ে গিয়েছিলো পরবর্তীকালে।

রাজা জানান, তিনি এযাবৎ যত ধারাবাহিকেই অভিনয় করুন না কেন ‘খড়কুটো’ ছিল সব কিছুর উর্দ্ধে। তিনি বলেন, ‘এই ধারাবাহিক করতে গিয়ে একটা পরিবার পেয়েছি। এখানে কোনও হিংসে নেই, রেষারেষি নেই। সবাই সবাইকে ভালো অভিনয় করতে সাহায্য করেছে’।

কথাপ্রসঙ্গে অভিনেতা এটাও জানান যে, খড়কুটো ধারাবাহিকে রূপাঞ্জন চরিত্রটির মেয়াদ ছিলো মাত্র ৩ দিন। চিত্রনাট্য অনুযায়ী চিনির সাথে বিয়ের পর দুজনে বিদেশে গিয়ে সেটল হয়ে যাবে। কিন্তু কী অদ্ভুত পরিহাস যে, তিনিই শেষদিন পর্যন্ত এই ধারাবাহিকের ছায়াসঙ্গী হয়ে ছিলেন।

রাজার কথায়, নায়ক চরিত্রে অভিনয় করার সময় তাকে দেখলে লোকে সেলফি তুলতে আসতো ঠিকই কিন্তু এখন যেটা পান সেটা যেন সবকিছুর উর্ধ্বে। আর এর সবকিছুই নাকি রূপাঞ্জনের জন্য। এখন তাকে দেখলেই সকলের মাথায় আসে তার মজার কান্ড কারখানার কথা। আর তাতেই সবাই আরো বেশি করে আপন করে নেয় রাজাকে।

এইদিন কথাপ্রসঙ্গে অভিনেতার জীবনের পরিবর্তনের কথা উঠে এলে রাজা বলেন, একটা সময় হাতে পোর্টফোলিও নিয়ে পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরতেন তিনি। স্টুডিওতে ঢুকতে গেলেও পেতেন বাধা। আর আজ এখন তার গাড়ির গেট খোলার জন্যেও লোক দাঁড়িয়ে থাকে।