বলিউড,বিনোদন,গসিপ,বিদ্যা বালান,সাক্ষাৎকার,বিতর্ক,Bollywood,Entertainment,Gossip,Vidya Balan,Controversy

Moumita

‘মিশন মঙ্গল’ এ অক্ষয় ছাড়াও আরো ৫ অভিনেত্রী ছিলাম’, বলিউডের দ্বিচারিতা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালান

টিনসেল নগরীর অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। বহু ভালো ছবি উঠে এসেছে তার হাত ধরে। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কিছু করাই তার অভ্যাস। ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘পা’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘বেগম জান’ এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি ফিল্ম কম্প্যানিয়নের ও ওম্যানিয়া 2022 আড্ডায় এসেছিলেন তিনি। সেখানেই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বেশ কিছু তেঁতো সত্য ফাঁস করলেন এইদিন।

   

এইদিন অভিনেত্রী জানান কীভাবে নির্মাতারা নারী-কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র তৈরি করতে ভয় পান। উদাহরণস্বরূপ তিনি তুলে এনেছেন ‘মিশন মঙ্গল’ ছবির কথা। বলাইবাহুল্য ছবিটি দারুন ব্যবসা করেছিলো বক্স অফিসে। একটা ছবি যখন সফল হয় তখন তার কৃতিত্ব শুধুমাত্র এক অভিনেতার হয়না।

একটা গোটা টিম মিলে একটা ছবি নির্মাণ করে। কিন্তু মিশন মঙ্গলের সাফল্যের গোটা কৃতিত্ব যেভাবে অক্ষয় কুমারের নামে করে দেওয়া হয়েছিলো তা নিয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। বিদ্যার কথায়, ছবিটি খুব ভালো ব্যবসা করেছিলো তো বটেই কিন্তু পাশাপাশি এটিকে অক্ষয়ের ছবি বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিলো যা খুবই দুঃখজনক।

অভিনেত্রীর কথায়, ছবিটি শুধুমাত্র অক্ষয়কে নিয়ে ছিলোনা। তার সাথে আরো ৫ জন অভিনেত্রীও ছিলো। আমাদেরকে কোনোভাবেই চলচ্চিত্রে প্রধান হিসেবে দেখানো হয়নি। কিন্তু গল্পটা তো শুধু অক্ষয়কে দিয়ে বর্ননা করা যায়না।”

এখানেই থেমে থাকেননি অভিনেত্রী, বিদ্যা জানান, “কেউ কেউ ছবির সাফল্য নিয়ে কথা বলতে আসছে। কিন্তু তারা ‘মিশন মঙ্গল’ নাম নিচ্ছেনা, উল্টে বলছে ওটা তো অক্ষয়ের ছবি ছিলো। আমি বলেছি, আপনি কি আমাকে এবং আরও চারজন মহিলা অভিনেত্রীকে দেখেননি”? জানিয়ে রাখি এই ছবিতে বিদ্যা ছাড়াও অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা, তাপসী পান্নু, নিত্য মেনন, কীর্তি কুলহারি এবং শারমন জোশী।

বিদ্যার কথা অনুযায়ী, মানুষ এখন একটা অজুহাত পেয়ে গেছে যে, কোভিড-19 মহামারীর কারণে নারী কেন্দ্রীক চলচ্চিত্রগুলি প্রেক্ষাগৃহে চলবেনা। এইমুহুর্তে এমন বহু ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে আর সেই ছবিগুলি তথাকথিত পুরুষ কেন্দ্রীক ছবি। অথচ ‘গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’‌ র মতো ছবি ব্লকবাস্টার হিট হয়েছে যার গল্প নারীকেন্দ্রীক। ‘ইন্ডাস্ট্রির এই দ্বিচারিতা খুবই হতাশাজনক’, আক্ষেপের সুর বিদ্যার গলায়।