Papiya Paul

বলিউডের সেরা খলনায়ক ছিলেন অমরেশ পুরী, প্রয়াত হলেও দর্শকদের মনে চিরস্মরণীয় অভিনেতা

বলিউড হোক কিংবা টলিউড, সিনেমা মানেই নায়ক-নায়িকার সাথে আরেকজনের চরিত্র ভীষণ প্রয়োজন। যে চরিত্র না থাকলে হয়তো সিনেমাটি জমবে না। আসলে ভিলেন বা খলনায়ক এর কথা এখানে বলা হচ্ছে। যেকোনো ছবিকে সুপারহিট করার ক্ষেত্রে ভিলেনের অবদান অনেক। বলিউডে অনেক খলনায়ক থাকলেও অমরেশ পুরীর নাম সবার প্রথমে আসবে। তার লুক থেকে গলার কণ্ঠস্বর সবটাই একজন খলনায়ক চরিত্রের জন্য একেবারে মানিয়ে যায়।

   

তিনি কিন্তু অন্যদের মতো খুব কম বয়স থেকে সিনেমা জগতে আসেননি, জীবনের প্রায় অনেকটা বছর পেরিয়ে যাবার পর অভিনয় জগতে পা দেন অমরেশ পুরী। তার ৩০ বছরের অভিনয় জগতের কেরিয়ারে ৪০০-র বেশি ছবি তিনি করেছিলেন। তবে বেশিরভাগ ছবিতেই তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার ‘মোগাম্বো’ চরিত্রের কথা মনে রেখেছেন আসমুদ্রহিমাচল। অভিনয়ে তিনি যে কাউকেই টেক্কা দিতে পারতেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কাছে তাকে হার মানতে হয়।

মস্তিষ্কের টিউমার ধরা পড়ে তার। এরপর ১২ই জানুয়ারি ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন অমরেশ পুরী। জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয় ছিলেন না। তিনি ১২ ই জুন ১৯৩২ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক যোগ থাকায় ছোট থেকে অভিনয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার দুই দাদা চমকপুরী ও মদন পুরী এরাও খলনায়ক হিসেবে বলিউডে কেরিয়ার করেছেন। দাদাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বলিউডে কাজ করার জন্য মুম্বাই শহরে আসেন তিনি।

কিন্তু শুরুতেই অডিশনে ব্যর্থ হন। এরপর হতাশ হয়ে অভিনয় ছেড়ে চাকরি করতে শুরু করেন। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। এই চাকরীর সূত্রেই তার স্ত্রী উর্মিলা বিবেকের সঙ্গে পরিচয় হয়। বিয়ের পরে তার স্ত্রী তাকে অভিনয়ের জন্য অনুপ্রেরণা দিতে শুরু করেন। এরপর ৪০ বছর বয়সে তিনি আবার বলিউডে নিজের কেরিয়ার তৈরি করেন। প্রথম ছবি ‘প্রেম পূজারী’, এই ছবির পর একটার পর একটা কাজের অফার তার কাছে আসে।

‘হাম পাঁচ’ ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে যান যে বলিউডের অন্যতম খলনায়ক হিসেবে পরিচিত হন। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মিস্টার ইন্ডিয়া, ডিডিএলজে, চাচি ৪২০ সব ছবিতে তার অভিনয় দর্শকদের মনে চিরকাল রয়ে গিয়েছে। জানা যায়, একটি ছবির জন্য সেই সময় এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন অমরেশ পুরী।