নিউজশর্ট ডেস্কঃ রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মামলা চলছে। হাজার হাজার চাকরি বাতিল হওয়ায় একদিকে যেমন আন্দোলন হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে আটকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াও। এমন পরিস্থিতির মাঝেই শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে সরকারি স্কুলগুলিও। কোথাও ছাত্র থাকলেও শিক্ষক নেই তো কোথাও আবার শিক্ষক আছে ছাত্র নেই! সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)।
২৬০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পর থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এদিকে বিগত কয়েক বছর নিয়োগ বন্ধ থাকলেও অবসর গ্রহণ করেছেন অনেকেই। তাই রাজ্য সরকার চালিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা কমেছে। যার কারণে এবার বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে একাধিক স্কুল। এই প্রসঙ্গেই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই সরকার শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি শুরু করবে। তবেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
বর্তমানে রাজ্যের সমস স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে। সরকারিভাবে নিয়োগের পক্রিয়া শুরু করতে চাওয়া হলেও কোর্টের নির্দেশের কারণে সেটা স্থগিত রয়েছে। তবে এবার দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেন তিনি এদিনের মন্তব্যে। তাঁর মতে, শুধু কন্যাশ্রী বা বৃদ্দি দিয়ে পড়াশোনা চালানো যাবে না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিকের আগেই স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। কিংবা মাধ্যমিক দিলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। সোজা কথায় স্কুল থেকে ‘ড্রপ আউট’ এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে পড়ানো হবে নেতাজি-স্বামীজীর বই, কত নাম্বার থাকবে পরীক্ষায়? দেখুন শিক্ষা দফতরের নোটিশ
রাজ্যের বর্তমান শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ আরও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে হওয়া উচিত বলে মত শিক্ষক মহলের অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সেটা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কতটা শিক্ষা পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া শীঘ্রই দুর্নীতি মুক্ত ভাবে নিয়োগ না করা হলে শিক্ষা ব্যবস্থা তলিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।