পার্থ মান্নাঃ কথায় বলে শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশের উপর নজর রাখতে অত্যন্ত গুতুত্বপূর্ণ। সেই জন্য প্রতিনিয়ত স্কুলের পঠনপাঠনের পদ্ধতি থেকে সিলেবাসে বদল আনা হয়ে থাকে। এই যেমন সম্প্রতি জানা গিয়েছে এবছর প্রায় আড়াই হাজার প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চমশ্রেণীকে সংযুক্তিকরণ করা হবে। তবে তারই মাঝে আরও একটা বৈষ্যমের খোঁজ মিলেছিল যেটা মিটিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার।
স্কুল ছুটি নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ
পুজোর মাসে স্কুলে ছুটি পড়েছিল সে কথা সকলেরই জানা। দুগাপুজো থেকে শুরু করে লক্ষীপুজো, কালীপুজো তারপর ভাইফোঁটা সব মিলিয়ে অক্টোবরের শুরু থেকে নভেম্বর প্রথম সপ্তাহের কিছুদিন পর্যন্ত প্রায় ১ মাস ছুটি মিলেছে পড়ুয়াদের। কিন্তু জানলে অবাক হবেন সব ছাত্রছাত্রীরা ছুটি পায়নি। আর এখানেই উঠেছে বৈষম্যের অভিযোগ।
ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব? তাহলে সবটা খুলে বলা যাক। আসলে রাজ্যের একাধিক প্রাইমারি স্কুলে দুর্গাপুজো ও লক্ষীপূজোর পরেই ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ প্রাইমারির পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে শুরু করে দিয়েছিল। এদিকে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা দিব্যি ছুটিতে ছিল। তাদের স্কুল খুলতে এখনো কয়েকদিন বাকি। পুজোর সময় প্রাইমারি ও মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এই ছুটির পার্থক্যকের জেরেই উঠেছিল বৈষম্যের অভিযোগ।
স্কুলের ছুটি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে রাজ্যের ৫০,০০০ প্রাইমারি স্কুল লক্ষীপূজোর দুদিন পর থেকে কালীপূজা পর্যন্ত খোলা ছিল। ওঠছে ৯৯৯১ টি মাধ্যমিক স্তরের ও ৬৭৭১টি উচ্চমাধ্যমিক স্কিল বন্ধ ছিল। এর জেরে শিক্ষকদের মধ্যেও একটা অসন্ডোষ কাজ করছিল। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে উভয় ক্ষেত্রেই টানা ১ মাস ছুটি ঘোষণা করার কথা জানানো হয়েছে।