ED,Income Tax,Black Money,ইনকাম ট্যাক্স,ইডি,কালো টাকা

Moumita

ED-র হাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া কালো টাকা কোথায় যায়? এই বিপুল অর্থের ভবিষ্যত জানেন?

সম্প্রতি বিপুল পরিমাণে অবৈধ টাকা উদ্ধার হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার মুখার্জির বাড়ি থেকে। আর তারপর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য তথা দেশজুড়ে। এই রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে শেষ কবে এতো টাকা উদ্ধার হয়েছে তার মনে করতে পারছে না কেউই।

   

প্রসঙ্গত, ২১ শে জুলাই ২০২২-এ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তথা অর্পিতা মুখার্জির বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। ২১ জুলাই উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে প্রথম অভিযান চালিয়ে ২১ কোটি কালো টাকা উদ্ধার করে ইডি‌। এরপর তার আরো একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ২৯ কোটিরও বেশি টাকা তারসাথে প্রচুর সোনা, বেশ কয়েকটি বাড়ির দলিল ইত্যাদি উদ্ধার করে ইডি।

তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ২০২১ সালে কানপুরের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে নগদ ২৮৪ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিলো ইডি‌। ২০২১ সালের এই ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছিলো গোটা দেশ। এমনকি এই টাকা গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো ইডি আধিকারিকরা। এমতাবস্থায় এতো টাকা একসাথে দেখে একাধিক মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে,যে এই টাকা উদ্ধারের পর তা কী করা হয়। এই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কি বাতিল করে দেওয়া হয় নাকি অন্য কেউ মালিক হয় এই টাকার?

জানিয়ে রাখি ইডি এবং আয়কর বিভাগ দ্বারা বাজেয়াপ্ত নগদ টাকা গয়না প্রথমে জমা করা হয় একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্টে। এখন প্রশ্ন হলো, এই অ্যাকাউন্টটি কার? উল্লেখ্য, এই টাকা ইনকাম ট্যাক্স ডিরেক্টরের নামেই এই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। পরে এই টাকা সেন্ট্রাল সার্কেলের কমিশনারের পিডি অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি এই সমস্ত কাজ হয় আদালতের অনুমতি মেনেই।

এরপর চলবে সেই কেসের তদন্ত। তদন্ত ও মূল্যায়নের ফলাফল যদি অভিযুক্তের পক্ষে আসে, তাহলে তিনি টাকা ফেরত পাওয়ার আবেদন করবেন। বিভাগ যদি তার আপিলকে বৈধ বলে না মনে করে, তাহলে তিনি ‘ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিল ট্রাইব্যুনালে’ আপিল করার সুযোগ পাবেন। এখানেও শুনানি না হলে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়তে পারেন।

এমতাবস্থায় বিচারে যদি প্রমাণিত হয় যে এই টাকা অভিযুক্ত ব্যক্তি দুর্নীতি করে নিজের কাছে এনেছেন সেক্ষেত্রে, নগদ টাকা পাকাপাকি বাজেয়াপ্ত করে তা কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে জমা হবে। আর যদি ইডি তা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে, সুদ সমেত ওই অর্থ ফেরত দিতে হবে।