Papiya Paul

বিপুল পরিমাণ সোনার মালিক ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী, এই সোনার কি হবে? জানালেন বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা

বাপ্পি লাহিড়ী বলতেই চোখের সামনে একগুচ্ছ গলায় সোনার চেন, হাতের ব্রেসলেট, সোনার ঘড়ি, আংটি আর চোখে কালো সানগ্লাস। এইভাবেই তিনি সারা জীবন প্রকাশ্যে এসেছেন। নিজেকে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। যা তিনি সত্যি করে যেতে পেরেছেন। আর এই জন্য ‘দ্য গোল্ডেন ম্যান’ নামে খ্যাত পেয়েছিলেন বাপ্পি দা। সোনা ছাড়া যেন চলতেই পারতেন না তিনি।

   

তাই তার জীবনের শেষ যাত্রাতেও গলায় ছিল তার প্রিয় সোনার চেন। তবে তার এত বিপুল সোনার মালিক কে হবেন? এইবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী। দীর্ঘদিনে তার সঙ্গীতের ক্যারিয়ারে প্রচুর সুপারহিট গান তিনি উপহার দিয়েছেন তাঁর ভক্তদের। তার গানের তালিকা যেমন দীর্ঘ তেমনই তার সোনা সংগ্রহের তালিকা বেশ দীর্ঘ।

আর এই নিয়ে বাপ্পা বলেছেন, সোনা বাবার খুবই প্রিয় ছিল। শুধু ফ্যাশন দেখানোর জন্যই নয়, সোনাকে ‘লাকি’ মনে করতেন তিনি। বাপ্পা এটাও জানিয়েছেন, সোনার প্রতি তাঁর এই আকর্ষণ তাকে সারাবিশ্ব ঘুরিয়েছে। হলিউড, ভ্যাটিকান সিটি সব জায়গা থেকেই তিনি সোনা নিয়ে এসেছেন। যেই গয়নাটা তার পছন্দ হতো সেটাকে সোনা এ রূপান্তরিত করে নিতেন বাপ্পি দা।

বাপ্পার মতে, সোনার সঙ্গে বাবার একটা আধ্যাত্মিক যোগ ছিল। তাই কখনোই সোনা ছাড়া কোথাও তিনি যেতেন না। ভোর পাঁচটার ফ্লাইট ধরলেও সমস্ত সোনার গয়না পরেই তারপর বের হতেন তিনি। এখন সোনা এমনি পড়ে রয়েছে। তাহলে তার মৃত্যুর পর এই বিপুল পরিমান সোনার কি হবে? এই প্রসঙ্গে বাপ্পা জানিয়েছেন, ‘এই সোনার গয়না গুলো আমরা সংরক্ষণ করব। ওগুলোই বাবার সব থেকে প্রিয় জিনিস ছিল। আমরা চাই মানুষ সেগুলোকে দেখার সুযোগ পাক। তাই সেগুলোকে মিউজিয়ামে দেবো বলে ঠিক করেছি।’ এছাড়া বাপ্পিদার গয়না, জুতো, সানগ্লাস, টুপি, ঘড়ি যা কিছু ছিল সমস্ত মিউজিয়ামে স্থান পাবে বলে জানা গিয়েছে।