দক্ষিণের ফিল্ম জগতের একজন জনপ্রিয় পরিচালক হলেন এস এস রাজামৌলি। শুধু জনপ্রিয় নয়, তাকে দামি পরিচালক বলা চলে। তার ২১ বছরের ক্যারিয়ারে ১১ টি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। আর প্রত্যেকটি ছবি সুপারহিট হয়েছিল। বাহুবলী, বাহুবলী ২, আরআরআর ছবিতে বিরাট সাফল্যের পর তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। তবে এত বড় মাপের একজন পরিচালককে প্রকাশ্যে অপমান করতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি বলিউডের অভিনেত্রী শ্রীদেবী।
বাহুবলি ছবির মুক্তির কিছুদিন আগে শ্রীদেবী পরিচালক সম্পর্কে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, তার সঙ্গে আচরণে অত্যন্ত অভদ্রতার পরিচয় দিয়েছিলেন রাজামৌলি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনি কাপুর। তিনিও মুখে কিছু না বললেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে রাজামৌলির ওপর তিনি বেশ বিরক্ত আছেন। আর এই ঘটনার পর ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন খোদ পরিচালক নিজেই। তিনি সবার সামনেই তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন।
পরিচালক সে সময় বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাবনত। তিনি তাকে অত্যন্ত সম্মান করেন। তাই যদি তার কোনো কথায় অপমানিত বোধ করে থাকেন, তাহলে সেটার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। আর এই ঘটনার পিছনে রয়েছে একটি কারণ। শোনা যায়, বাহুবলি ছবির শিবগামী চরিত্রটির জন্য প্রথমে শ্রীদেবীকে অফার দিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু শ্রীদেবী সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপরই নাকি কোন একটি অনুষ্ঠানে শ্রীদেবীর বদমেজাজি চরিত্র নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। এমনকি তার চাওয়া পারিশ্রমিক নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন পরিচালক।
এরপরেও পরিচালক ব্যঙ্গের সুরে বলেছিলেন যে, ভাগ্যিস উনি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তাই তার জন্য আজ অভিনেত্রীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। আর এই মন্তব্যের পরে জবাব দিতে ছাড়েননি শ্রীদেবী নিজেও। তার স্বামী বনি কাপুরকে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে শ্রীদেবী বলেন, “প্রথমত, আমি ভাবতেই পারছিনা, উনি এরকম ধরনের কথা বলতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আমি দাবি-দাওয়া করার মানুষ নই। আর যে ছবি আমি করিনি তার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে মন্তব্য করাটা অত্যন্ত অভদ্রতার পরিচয়।” এরপরে অবশ্য তার এই মন্তব্যের জন্য শ্রীদেবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন পরিচালক। তিনি মনে করেন তার বক্তব্যের ভুল মানে করা হয়েছে। তবে তিনি এ বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত সেটি প্রকাশ করেছিলেন।