নিউজশর্ট ডেস্কঃ ২০২০ সালে গোটা পৃথিবী জুড়ে আতঙ্কের একটাই নাম ছিল সেটা হল করোনা। তবে এবার মাঙ্কি পক্স নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। ভয়ানক এই চর্মরোগ হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যার জেরে গত বুধবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এবছরের মে মাস থেকেই বাড়ছে মাঙ্কি পক্সের আক্রান্তের সংখ্যা।
আফ্রিকার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণরোগ। শুধুমাত্র আফ্রিকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি। ৫২৪ জন মারাও গিয়েছে, যার ফলে চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকমহলে। এখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগছে মাঙ্কি পক্স আসলে কি? কি কি উপসর্গ দেখা যায় এই রোগে? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদনে।
মাঙ্কি পক্স কি?
মাঙ্কি পক্স আসলে প্রাণীদের থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ হওয়া এক প্রকারের জুনোসিস রোগ। ১৯৮০ নাগাদ প্রথম এই রোগের দেখা মিলেছিল। মূলত গ্রীষ্মপ্রধান বনাঞ্চলের প্রাণীদের থেকেই এটি মানবদেহে সংক্রমিত হয়। এপর্যন্ত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকাতেই সবচেয়ে বেশি মাঙ্কি পক্সের কেস লক্ষ করা গেছে। এর ফলে গুটি বসন্তের মত গোটা গায়ে গুটি গুটি ফোসকার মত তৈরী হয়ে যায়।
প্রাণী থেকে মানুষে তো বটেই মানুষের থেকেও মানুষের মধ্যে হু হু করে ছড়িয়ে পরে এই রোগের ভাইরাস। চিকেন পক্সের মত গোটা গায়ে র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে ভাইরাসটি লসিকাবাহের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মূলত যৌন মিলন, ক্ষতস্থান, নাক মুখ বা চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস দেহে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুনঃ মঙ্গল গ্রহের মাটির নিচেই রয়েছে আস্ত সমুদ্র, বিরাট আবিষ্কার Nasa-র
মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ কি?
এই রোগের ক্ষেত্রে শুরুতেই গোটা গায়ে ফুসকুড়ি বেরোতে শুরু করবে ও জ্বর আসবে। জোরালো মাথাব্যথা, লিমফ নোড ফুলে যাওয়া, পিঠে ও পেশিতে প্রচন্ড ব্যাথা ইত্যাদি হল এই রোগের মূল উপসর্গ। এই ভিরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৫-২১ দিন পর্যন্ত তবে তৃতীয় দিন থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু হয়। এরপর ফুসকুড়ি ফাটতে শুরু করলে সেটা প্রায় চার সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। যার ফলে শরীর একেবারেই দুর্বল হয়ে যায়।