অবশেষে ছত্তিশগড়ের জাঞ্জগির চম্পায় বোরওয়েলে আটকে পড়া রাহুলকে উদ্ধার করলো জাতীয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা এবং পুলিশ। প্রায় ১০৪ ঘন্টা চেষ্টার পর ৮০ ফুটের গর্ত থেকে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো ঐ ৮০ ফুট গর্তের মধ্যে শুধু রাহুল সাহুই ছিলোনা তার সাথে ছিলো একটা সাপ এবং ব্যাঙ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শিউরে উঠছেন সবাই। কীভাবে ঐ গর্তের মধ্যে ১০৪ ঘন্টা একটি সাপ ও ব্যাঙ’কে সঙ্গী করে কাটালো ঐ বাচ্চাটি?
গত শুক্রবার ৮০ ফুট গভীর একটি কুয়োয় পড়ে যায় বছর এগারোর রাহুল। তাকে উদ্ধার করতে কোনো কসরত ছাড়েনি উদ্ধারবাহিনী। ১০৪ ঘন্টার নিরলস পরিশ্রমের পর মঙ্গলবার গভীর রাতে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা। তবে এর সাথেও যে চাঞ্চল্যকর তথ্যটি উদ্ধারকারীরা দেন তা হলো, কুয়োর নীচে একটি সাপ এবং ব্যাঙও ছিলো রাহুলের সাথে। একদিকে মাটির নিচে অক্সিজেনের অভাব অপরদিকে সাপের মতো বিষধর প্রাণী, যে কোনও সময় প্রাণ যেতে পারতো রাহুলের।
हमारा बच्चा बहुत बहादुर है।
उसके साथ गढ्ढे में 104 घंटे तक एक सांप और मेढक उसके साथी थे।
आज पूरा छत्तीसगढ़ उत्सव मना रहा है, जल्द अस्पताल से पूरी तरह ठीक होकर लौटे, हम सब कामना करते हैं।
इस ऑपरेशन में शामिल सभी टीम को पुनः बधाई एवं धन्यवाद। pic.twitter.com/JejmhL7PBj
— Bhupesh Baghel (@bhupeshbaghel) June 14, 2022
ঐটুকু একটা জায়গার মধ্যে জমাট বাঁধা অন্ধকারে রাহুলের সাথে রয়েছে আরও দুটি প্রাণী, খবরটি পাওয়ার সাথে সাথেই শিউরে ওঠেন জেলাশাসক জিতেন্দ্র শুক্লা। তবে এই খবর শোনার পর রাহুলের পরিবার ভয় পেয়ে যাবে ভেবেই সাময়িকভাবে খবরটি চেপে যান তিনি। তবে আশ্চর্যজনক এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর যেই শুনছে সেই চমকে উঠছে বিষয়টি নিয়ে। তবে প্রায় সাড়ে চারদিন পর বাচ্চাটির উদ্ধারকাজের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ছত্তিশগড়ের মানুষ। রাহুলের উদ্ধারের পর মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল টুইট করে বলেন, ‘আমাদের ছেলে দারুণ সাহসী। ১০৪ ঘণ্টা তার সঙ্গী ছিল একটি সাপ এবং একটি ব্যাঙ। আজ গোটা ছত্তীশগড় খুশি।’ ঠাকুর অবশেষে সকলের প্রার্থনা শুনেছেন, একথাই বলছেন নেটিজনরা।