একে তো তারকা সন্তান, তার উপর আবার এমন চনমনে বাচ্চা। বাবা-মা থেকে শুরু করে ভক্তদের সকলেরই বড্ডো প্রিয় বাচ্চা হলো ইউভান। সময় সুযোগ পেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি ভিডিও শেয়ার করে থাকেন রাজ-শুভশ্রী। নেটিজেনদের প্রশংসাবার্তায় ভরে ওঠে কমেন্ট বক্স। আর এবার তো বাদ গেলেন না স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।
সত্যি বলতে বাচ্চাদের কে না পছন্দ করে? বাচ্চা মানেই মন ভালো করা একটা প্রাণ। আর এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের বাচ্চা হল খুদে ইউভান। হ্যাঁ, এমনটাই জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইদিন শারদীয়া সংখ্যা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভশ্রী গাঙ্গুলী।
সেখানেই শুভশ্রীর বাচ্চার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভশ্রীর ছেলে প্রসঙ্গে বলেন, “শুভশ্রীর বাচ্চাটা খুব স্মার্ট। আমি নিজেই মাঝে মাঝে ছবি চেয়ে পাঠাই, দেখব বলে। ‘আজকাল দেখছি যদি একটা নিজস্ব মতামতও দিলেও সেখানেও বিকৃত কথাবার্তা বলা হচ্ছে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা বললেও সমস্যা। আজ তো কাঁচাবাদামের ভুবন গান গাইল। মানুষ সমর্থন না করলে কি ও এখানে পৌঁছত! চায়ে পে চর্চা, নানারকম কথা হতেই থাকবে।”
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। রাজ্যের বিরোধীদেরও এক হাত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো, “বাংলার নামে বদনাম করলে, অসম্মান করলে রাগ হয়। একসময় তো দিল্লিতে যেতে লজ্জা লাগত। খালি বাংলার নামে অপবাদ। বাইরে থেকে টাকা দিয়ে কিছু লোক এসেছে। যারা গালাগাল দিচ্ছেন। তবে কারও কিছু এসে যায় না। আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নই। তাই ৩৪ বছরের জন্য CPIM-এর কাউকে গ্রেফতার করিনি। আপনারা তরজা করে যান, বাংলা আরও উন্নতি করবে। উন্নয়নই আমাদের কাজ।”
আসলে দুর্নীতিকান্ডে একের পর এক দলের মেম্বাররা ধরা পড়ে যাওয়ায় একটু জব্দ হয়ে গিয়েছে গোটা দল। এদিকে দিন দিন যেভাবে বেকারত্ব বাড়ছে তাতে সরব হয়ে উঠেছে রাজ্যের সাধারণ মানুষও। কিন্তু তিনি দমে যাওয়ার পাত্রী নন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কোনো কাজই ছোট নয়। তার পরামর্শ, “চা-বিস্কুট, ঘুগনি, তেলেভাজার ব্যবসা করুন, পুজো আসছে, দিয়ে কুলোতে পারবেন না। খেটে খেতে হবে, শরীরের নাম মহাশয়। যা সওয়াবেন তাই সইবে।”