Zee Bangla

‘ময়ূরী খুব ল্যাদখোর, লুকিয়ে বিশেষ মানুষের জন্য মাংস রাঁধেন!’, রচনার সামনে সিক্রেট ফাঁস মেঘের

বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন(Non Fiction Show) শো হল দিদি নাম্বার ওয়ান(Didi No 1)। বাংলার দিদিদের নিয়ে গড়ে ওঠা এই শো নিয়ে বেজায় উৎসাহিত থাকে দর্শকরা। সময়ে সময়ে এই মঞ্চে উঠে আসে বাংলার দিদিদের জীবনের নানা গল্প। তার মধ্যে কখনও কখনও আসর জমাতে আসেন টেলি দুনিয়ার নক্ষত্ররাও।

এই যেমন সম্প্রতি রচনা ব্যানার্জীর এই শো-য়ে হাজির হয়েছিল ইচ্ছে পুতুলের টিম। জমিয়ে চলল আড্ডা। কথা কথায় সামনে এল নানান অজানা কথা। পর্দার এপারে দুই বোনের রেষারেষি থাকলেও, প্যাকাপের পর দেখা যায় অন্য দৃশ্য। ময়ূরী-মেঘকে সহ্য করতে না পারলেও শ্বেতা কিন্তু তিতিক্ষার খুব ভালো বন্ধু।

এইদিন দিদি নম্বর ওয়ানে তিতিক্ষা দাস ওরফে মেঘ জানান, তিনি যে কতবার এই মঞ্চে এসেছেন তা গুনে শেষ করা যাবেনা। এর আগে কো ডান্সার হিসেবেও এসেছেন এই প্রোগ্রামে। পাশাপাশি তিনি জানান, তিনি প্রথম মঞ্চে পারফর্ম করেছিলেন জি বাংলার সারেগামাপা-র ওপেনিংয়ে। তিতিক্ষা জানান, নাচের হাত ধরেই তাঁর অভিনয়ে আসা।

রচনাকে তিতিক্ষা বলেন, ‘তুমি আমার সামনে নাচতে আমি পিছন থেকে দেখতাম। ভাবতাম, কবে তোমার জায়গায় আসব, অবশেষে আমি এখানে এসেছি। আমি নাচ করলাম, তুমি হাত তালি দিলে, এটা একটা পাওনা।’ তাছাড়া অফস্ক্রিন শ্বেতা আর তার সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন তিনি।

সাথে সাথে শ্বেতার বিরুদ্ধে এক অভিযোগও জানিয়েছেন তিতিক্ষা। অভিনেত্রীর অভিযোগ, শ্বেতা নাকি ভীষণ ‘ল্যাদখোর’। শুটিং শেষ হলেই বাড়ি যাওয়ার বড্ড তাড়া থাকে ওর। এই কথার রেশ ধরে ময়ূরী ওরফে শ্বেতা জানান, তিনি বাড়ি গিয়ে শুধুই ঘুমান।

পাশাপাশি এইদিন এটাও জানা গেল, তিনি আসলে একজন অবাঙালি মেয়ে। তার মা রাজস্থানের আর বাবা উত্তরপ্রদেশের। তাদের বাড়িতে কোনোভাবেই মাছ মাংস ঢোকেনা। কিন্তু তা সত্বেও তিনি সমস্ত আমিষ রান্নায় পটু। আর এই সবই নাকি তার মিস্টার সেনগুপ্তর জন্য। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, অভিনয়ের পাশাপাশি তার ইচ্ছা নামের আগে ডক্টর শব্দটি বসানোর।

Avatar

Moumita

X