ভারতের যে কোনো সাধারণ বা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের ক্ষেত্রে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করা মোটেও সহজ নয়। আমাদের এখানে ব্যবসার চেয়ে চাকরিটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে মানুষ। এমতাবস্থায় কেউ কেউ ব্যবসার কথা ভাবলেও পরিবার আর সমাজের কথা চিন্তা করে সেই ভাবনা থেকে সরে আসে। একই সাথে কিছু মানুষ এমনও আছেন যারা নিজের মনের কথাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং কাঙ্খিত সাফল্য কে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে।
এমনই একটি সিদ্ধান্ত নিখিল কামাত নামে এক যুবকও নিয়েছিলেন, যিনি আজ শেয়ারবাজার এবং জেরোধা কোম্পানির একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বিখ্যাত। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে নিখিল কামাত, যিনি আজ কোটি টাকার মালিক তিনি তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে কল সেন্টারে কাজ করতেন।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৭ বছর বয়সে কর্মজীবনে পা রাখেন তিনি। টাকার প্রয়োজনে কোথাও কিছু না পেয়ে মাসিক ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি কল সেন্টারে চাকরি নেন নিখিল। আসলে নিখিল একজন স্কুল ড্রপআউট ছাত্র ছিলো। তাই কোনো ভালো চাকরি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিলোনা তার। এমতাবস্থায় নিখিলের নজর যায় শেয়ার বাজারের দিকে।
টানা একটা বছর শেয়ার বাজার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জোগাড় করেন তিনি। নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে অবশেষে একদিন নেমেই পড়লেন স্টক মার্কেটের মাঠে। নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করে মোটা লাভের মুখ দেখেন নিখিল।
তবে নিজের জ্ঞানকে শুধুমাত্র নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি তিনি। সেই কারণেই পাল ২০১০ এ জিরোধা নামের একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন যা আজ দেশের অন্যতম খ্যাতনামা কোম্পানি। এই প্রসঙ্গে নিখিল জানান, ‘তিনি এখনও দিনের প্রায় ৮৫ শতাংশ সময় কাজে ব্যয় করেন, যাতে তিনি তার সাফল্য বজায় রাখতে পারেন।’
তবে নিখিলের এই সাফল্যের পিছনে, তার বাবার অবদানও কম নয়। তিনি নিজের সারাজীবনের সঞ্চয় থেকে কিছুটা অংশ নিখিলের হাতে তুলে দেন তার কোম্পানি চালু করার জন্য। সেই টাকা থেকেই প্রথম লগ্নি করেন নিখিল। আর আজকে তার সাফল্য তো সকলের সামনেই।