নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন সরগরম গোটা রাজ্য। রাজনৈতিক তরজা থেকে শুরু করে ফিল্মি দুনিয়ার জল্পনা সবই এখন মিলেমিশে একাকার। রাজ্যের বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতা তো জেলে ঢুকেইছেন। পাশাপাশি নাম জুড়েছে বেশকিছু অভিনেতা-নেত্রীদেরও। আর সম্প্রতি এই নিয়েই বড় বয়ান দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ।
তদন্তে পাওয়া যায় দুর্নীতির সাথে রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে পড়েছে টালিগঞ্জের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। বনি সেনগুপ্তর নাম জড়ানোর পর এই নিয়ে হিরণ বলেন, “বনি বাচ্চা। টলিউডের ৯৯ শতাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত। টলিউডের ৯৯ শতাংশ প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা কোনও না কোনওভাবে পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে চোরেদের সরকারের সঙ্গে যুক্ত।” শুধু তাই না, হিরণ, দেব, সায়নী ঘোষের নাম করে বিঁধেছিলেন।
আর এবার তার প্রতুত্তর দিতে মাঠে নেমেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। আসলে যখনই নিজের দলের উপর কেউ আঙুল ওঠায় তখনই মাঠে নামেন চিরঞ্জিত। যদিও সারারাজ্যের মানুষ এখন এই নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন। তবে হিরণ ওই একই কথা বলায় চিরঞ্জিত বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যোগ না থাকলে হিরণ এত কিছু জানলেন কীভাবে!
নিজের স্বভাবোচিত ভঙ্গিমায় চিরঞ্জিত বলেন, “হিরণকে আমি খুব একটা চিনি না। কী কী ছবি করেছে তার নামও বলতে পারব না। এতই কম ছবি করেছে, এতই কম সফল, বাঙালি দর্শকও বোধহয় মনে করতে পারবেন না। যাই হোক তবু ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন।” বারংবার তার প্রশ্ন দুর্নীতিতে না জড়ালে কীভাবে এত কিছু জানলেন হিরণ!
অভিনেতার কথায়, ‘আমার মনে হয় ও কিন্তু এই ৯৯ শতাংশের মধ্যেই পড়ে। করাপশনটা বোধহয় ওর অন্যদের থেকে আরও বেশি আছে। কারণ, তা যদি না হয় তাহলে ও এত জানবে কী করে। একজন যদি জেলে না যায় তার জেল সম্পর্কে এত ধারণা কীভাবে হবে। একজন যদি প্যারিস না যায় তার প্যারিস সম্পর্কে এত ধারণা কীভাবে হবে। যদি চোর না হয়, তাহলে চোরদের সম্পর্কে জানবে কী করে। ইডি, সিবিআইয়ের কাছে আমার অনুরোধ হিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করুক।’
এরপরেই বারাসাতের বিধায়ক বলেন, ‘ও বোধহয় একবার অভিষেকের সঙ্গে দেখা করেছিল। আমি শুনেছি ও গিয়েছিল অভিষেকের কাছে তৃণমূলে যোগ দিতে। অভিষেক বলেছে এখনও সময় হয়নি। সংবাদমাধ্যম খোঁজ নিক সবটা। আমার মনে হয় সেই রাগ থেকে ওর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করছে। তাই এসব প্রলাপ বকছে।’