Bangla Hunt

শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে বাংলা হান্ট, বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা হল পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে কেবল একটি কথাই। দুর্নীতি। যত দিন গড়াচ্ছে কমছে সরকারি চাকরি। বাকি যা অবশিষ্ট থাকছে, তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তবে এখন কেবল অন্দরমহলই নয়, রীতিমতো বাইরে বেরিয়ে পড়ছে একের পর এক দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে সামনে আসছে শাসক দলের একের পর এক হেভিওয়েট নাম। ধরা পড়ছে চাকরি বিক্রির দালালরা। এর মাঝে বাংলা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক ছেলে মেয়ে।

২০০৮-এ সিঙ্গুর ছেড়ে চলে গিয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। তারপর থেকে আর সেভাবে শিল্প হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। যা নিয়ে বিরোধীদের নিশানায় রয়েছে শাসক দল। চলছে শাসক বিরোধীর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি। কে কতটা দুর্নীতি করল, কার আমলে দুর্নীতি বেশি হল, তা নিয়েই সরগরম হয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক পটভূমি। রাজ্যে সরকারি চাকরির মতো শিল্পের ছবিটাও বেশ সঙ্গীন। কর্মসংস্থানের অভাবে একের পর এক মানুষ রাজ্য ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যেে।

ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ১২টা বছর। তবু কেন তেমন শিল্প এল না বঙ্গে? কেন রাজ্যের প্রগতি ঢাকা পড়ে গেল দুর্নীতির কালো মেঘে? অভিযোগ পালটা অভিযোগে হারিয়ে যাচ্ছে না তো আসল সমস্যাগুলি? সেই প্রশ্নই করেছিলাম আমরা। একেবারে শিল্পের খাসতালুক, বাংলার শিল্পাঞ্চল দূর্গাপুরে। সৃজনী হলের বিতর্ক সভায় নিজেদের মতামত দিলেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী মিশ্র, দেবাংশু ভট্টাচার্য, কোহিনুর মজুমদার, চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, সজল ঘোষ প্রমুখ।

বাংলায় শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শাসক-বিরোধী দলের প্রতিনিধি এবং শিল্পপতিরা দিলেন নিজেদের মতামত। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি কবি দত্ত, স্বরূপ ঘোষ, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং শাসক দলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা মদন মিত্র। সব মিলিয়ে একটি হাই ভোল্টেজ বিতর্ক সভার আয়োজন করল বাংলাহান্ট ডিজিটাল মিডিয়া।

বাংলাহান্টের পথচলা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ৬ বছর আগে ২০১৭ সালে। ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের এনএক্স হোটেলে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম বিতর্ক সভা। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি মাস। এই কয়েক মাসে বঙ্গের সমস্যাগুলি তুলে ধরে আরও বেশ কয়েকটি বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়। এ বার আমরা পা রাখলাম বাংলার শিল্পাঞ্চল দূর্গাপুরে। যেখানে অনুষ্ঠিত হল আরও একটি বিতর্ক সভার।

Papiya Paul

X