তিনি হলেন বাংলার কালারফুল বয়, তিনি হলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। উৎসব হোক কী সাধারণ দিন, তিনি সবসময়ই থাকেন সেলিব্রেশনের মুডে। নীল ষষ্ঠির দিনেও কামারহাটির জনপ্রিয় তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে দেখা গেল উদযাপনে ব্যস্ত থাকতে। এইদিন গঙ্গায় স্নান করে পৌঁছে গেলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে।
তবে এইদিন মদন মিত্র (Madan Mitra) একা পুজো দিলেননা। বিধায়কের সাথে উপস্থিত ছিলেন টলিউড অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের তারকা সদস্য কৌশানী মুখোপাধ্যায়ও (Kausani Mukherjee)। মদন মিত্রের সঙ্গে এইভাবে একসাথে পুজো দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কৌশানিও। বিধায়ককে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি নায়িকা।
তবে উৎসব হোক আর যাই হোক, মদন মিত্র কিন্তু তার লক্ষ্যে অবিচল। পুজো দিতে গিয়েও তার মুখে শোনা গেল পঞ্চায়েত লড়াইয়ের বার্তা। বিধায়কের কথায়, ”পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফাঁকা গোলে নির্বাচন হবে, খেলায় ট্রাইবেকার হচ্ছে গোলকিপার নেই। তাহলে আমি কাকে মারব? আরেকটা হয় যে আমি বিজেপির এজেন্ট সেজে বুথে বসে ওদের হয়ে কাজ করি। আসলে ওদের তো কেউ নেই ভোট করানোর।”
মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হয়, নীল ষষ্ঠীর দিন মা ভবতারিণীর কাছে পুজো দিয়ে কী চাইলেন তিনি? জবাব এল, ”বাংলার উপর থেকে যেন সমস্ত বঞ্চনা দূর হয়। কেন্দ্রের অত্যাচার যেন বন্ধ হয়ে যায়। এসবই প্রার্থনা করলাম। মানুষ যাতে শান্তিতে এখানে থাকতে পারে, তাও বললাম মায়ের কাছে।”
এদিকে গোলাপি সালোয়ার কামিজ আর রোদ চশমায় কৌশানী ছিল মদন মিত্রের ছায়াসঙ্গী। নায়িকা সুলভ নয়, একেবারেই ঘরের মেয়ের মতোই লাগছিল তাকে। খুশিতে ডগমগ হয়ে তিনি বললেন, ”দাদার ডাকে এসেছি। এই আজকের দিনে এভাবে পুজো দিয়ে খুব ভাল লাগল। আমি এ ধরনের অনুষ্ঠানে প্রথমবার অংশ নিলাম। তবে দেখে মনে হচ্ছে, দাদা যতক্ষণ আছেন, ততক্ষণ কোনও চিন্তা নেই। তিনি আমার সমস্ত মনোষ্কামনা পূর্ণ করে দিয়েছেন। এখানকার মানুষ ভাল আছেন।”
এইদিন গঙ্গাস্নান থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়া ও জনসংযোগ – সবেতেই মদন মিত্রের সাথে ছিলেন কৌশানি। তারকা সদস্যকে সামনে থেকে দেখে ভিড় করেছিলেন দর্শনার্থীরাও। দু একজন আবার সেলফি তোলার আবাদারও জানালেন। হাসিমুখে ভক্তদের সেই আবাদারও মিটিয়েছেন কৌশানি।