রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। গ্রীষ্ম যেন দুহাত খুলে ব্যাটিং শুরু করেছে। আর তারফলে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। পরিস্থিতি এমন যে, সকাল থেকেই রাস্তায় বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে মানুষজন। তবে এসবের মধ্যেই মিলেছে স্বস্তির খবর। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টি আসছে দক্ষিণবঙ্গেও।
আবহাওয়া দফতরের খবর, আগামী শনিবার ২২ তারিখ থেকেই আবহাওয়ার ব্যপক পরিবর্তন আসছে। যদিও এক্ষুণি কালবৈশাখী বা ঝেঁপে বৃষ্টির আশা নেই, কিন্তু তীব্র দাবদাহ থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে। আপাতত এই তাপপ্রবাহ চলবে আগামী বৃহস্পতি-শুক্রবার পর্যন্ত। চারপাশে থাকবে গরম এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ।
অর্থাৎ আগামী ৪-৫ দিন এরকমই উষ্ণতা থাকবে বলে খবর। প্রসঙ্গত, এইমুহুর্তে কলকাতা সহ পুরো দক্ষিণবঙ্গের উষ্ণতা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে সেখানে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মত জেলাগুলির তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। এদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রী বেড়ে ২৯.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
দক্ষিণবঙ্গে, বাতাসে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩১ থেকে ৮৭ শতাংশ। ইতিমধ্যেই মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে উত্তরবঙ্গেও পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। পার্বত্য জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়েও গরমের অনুভূতি বেশ জোরালো।
তবে আগামিকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকার জেলাগুলিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে দু’ এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকা ও সংলগ্ন স্থানে। এরপর শনি, রবিবার থেকে ৫ জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গেও হালকা বৃষ্টির আভাস আসতে পারে শনিবারের পর থেকে। দক্ষিণবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বললে, সোমবার পর্যন্ত উষ্ণতম জেলা ছিল বাঁকুড়া। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বীরভূমের শ্রীনিকেতন, পানাগড়েও তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল। এদিকে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৪ ডিগ্রি বেশি।