‘হার কে জিতনে বালো কো বাজিগর কেহেতে হ্যায়’। ‘বাজিগর’ সিনেমার এই ডায়লগ সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। কিং খানের এই ডায়লগ আজও ট্রেন্ডিংয়ে। তবে এবার ভক্তদের মধ্যে নয়, বরং শাহরুখ খানের নিজের জীবনেই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ডুবন্ত অবস্থা থেকেও বার বার ফিরে এসেছেন তিনি। তার সাম্প্রতিক নিদর্শন মিলেছে ‘পাঠান’ ছবিতে।
দীর্ঘ ৫ বছর পর দূর্দান্ত সাফল্যের সাথে বক্স অফিসে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে ১০৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছে শাহরুখের (Shahrukh Khan) ‘পাঠান’ (Pathan)। অভিনয় থেকে শুরু করে ভিএফএক্স, অ্যাকশন দৃশ্য সবকিছু নিয়েই প্রশংসাও পেয়েছেন ঢালাও। পাশাপাশি তারকাদের ঝুলিতেও এসেছে কোটি কোটি টাকা (Money)।
কোটি কোটি টাকা এসেছে শাহরুখের ঘরেও। তবে জেনে অবাক হবেন যে, যশরাজ ফিল্মসের এই ছবির জন্য এক পয়সাও পারিশ্রমিক নেননি শাহরুখ। তা হলে শাহরুখের এই আয়ের নেপথ্যে কোন রহস্য? অনেকেই হয়ত জানেন বা জানেননা যে, আসলে শাহরুখ এখন আর কোনো ফিক্সড পারিশ্রমিক নেননা।
মিডিয়ার রিপোর্ট, ছবির লাভের অঙ্কের ভিত্তিতে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তিনি। আর সেই চুক্তি অনুযায়ী, লাভের ৬০ শতাংশ টাকা তিনি নিয়েছেন। এই চুক্তিতেই ছবি সই করেছিলেন শাহরুখ। ফলস্বরূপ শাহরুখের ঘরে এসেছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। কীভাবে? চলুন দেখে নিই টাকার অঙ্কের হিসেব।
বিশ্বজুড়ে হাজার কোটির ব্যবসার অঙ্কের মধ্যে রয়েছে দেশের বক্স অফিসের ৫০০ কোটির বেশি কালেকশন। সেখান থেকে ডিস্ট্রিবিউটরদের পিছনে খরচ হয়েছে অনেকটাই। এছাড়া ছবির বাজেট ছিল ২৭০ কোটি টাকা। সমস্ত খরচ খরচা বাদ দিয়ে ‘পাঠান’ থেকে নির্মাতাদের আয় ৩০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
চুক্তি অনুযায়ী ছবির লভ্যাংশের ৬০ শতাংশ নিয়েছেন শাহরুখ। সেই টাকার অঙ্ক প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ আলাদা কোনো পারিশ্রমিক নয়, ছবির লভ্যাংশের একটা অংশ নিয়েছেন শাহরুখ খান। সূত্রের খবর, এরপর বেশিরভাগ ছবিতেই এইরকম চুক্তিতেই সই করবেন অভিনেতা।