বাঙালি গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)-কে নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছুই নেই। এই নামটার সাথে জড়িয়ে রয়েছে প্রচুর আবেগ ও ভালোবাসা। সাফল্যের শীর্ষে থেকেও তার সাদামাটা জীবন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। সাধারণের মাঝে কীভাবে অসাধারণ হয়ে উঠতে হয় সেটা অরিজিৎ সকলের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আর সেই কারণেই গায়ক অরিজিৎ-র পাশাপাশি ব্যক্তি অরিজিৎ-র ভক্ত যেন আরো বেশি।
এইমুহুর্তে দেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত গায়ক হওয়া স্বত্বেও তার আজও তার ঠিকানা জিয়াগঞ্জের মত ছোট্ট শহর। কোন স্টারডমই তাকে তার শিকড় থেকে আলাদা করতে পারেনি। এই ছোট্ট শহরেই তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি। তার সন্তানরাও দেশের নামিদামী স্কুল কলেজ ছেড়ে পড়াশোনা করেন খুবই সাধারণ বেসরকারি স্কুলে। আর সেই ফর্ম তোলেন অরিজিৎ নিজেই।
আর গায়কের এই বিষয়টাই যেন তাকে আরো অসাধারণ করে তুলেছে। দুঃস্থদের জন্য খুলে দিয়েছেন তার হেঁশেল। খুবই নূন্যতম খরচে সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে তার এই রেস্টুরেন্ট। এছাড়াও স্থানীয় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা স্বাস্থ্য এসব অনেক কিছুরই দায়িত্ব নিজের মাথায় তুলে নিয়েছেন অরিজিৎ। আর এইসব কারণেই তো ব্যক্তি অরিজিৎ-র কথা শুনলেই মানুষের মাথা নত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি। তিনি চাইলেই সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাদের বিদেশে পাঠাতে পারেন। কিন্তু অরিজিৎ-র পরিকল্পনা সেরকম নয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় গায়িকা পৌষালী ব্যানার্জী (Pausali Banerjee) -কে তিনি জানিয়েছেন সেই কথা।
এইদিন প্রিয় গায়ককে সামনে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন পৌষালী। অরিজিৎ তাকে জানান তিনি তার দুই ছেলে জুল এবং আলিকে শান্তিনিকেতন (Santiniketan) পড়াতে চান। জানিয়ে রাখি, পৌষালী নিজেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) এর শান্তিনিকেতনের ছাত্রী। গান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এখানেই।
অরিজিৎ-র কথায়, “ছেলেদের ভবিষ্যতে শান্তিনিকেতনে পড়ানোর ইচ্ছে আছে। শান্তিনিকেতন কি খুব ভাল? ভবিষ্যতে ছেলেদের ওখানে ভর্তি করতে চাইলে সাহায্য করবে?” এরকম একজন তারকা হয়েও ছেলেদের শান্তিনিকেতনে পড়াতে চান শুনে মুগ্ধ হয়ে যান পৌষালী। তিনি বলছন, “নিশ্চয়, ওটা তো আমার জায়গা। সবরকম সাহায্য করব।”