জনপ্রিয় নায়িকা হয়েও আত্মহত্যার পথ বাছেন, এই মানুষগুলোর জন্য সেদিন মরতে পারেননি ইন্দ্রানী!

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বড়পর্দা (Tollywood) হোক কি ছোট পর্দা (Television) অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার (Indrani Halder) সব জায়গাতেই সুপারহিট। তার সময়কার অভিনেত্রীরা যেখানে সিনেমা ছেড়ে সিরিয়ালের কথা ভাবতেও পারতেন না সেখানে তার কাছে অভিনয়টাই ছিল বড় কথা। কাজের ভেদাভেদ কখনোই করেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, এহেন অভিনেত্রীরও সমালোচকের অভাব নেই। তবে যে যত বড়োই সমালোচক হোক না কেন, তার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কথা বলার মত সাহস বোধহয় কারোরই নেই। ইন্দ্রানী হালদার অভিনীত ‘মহালয়া’ আজও মিস করে থাকে বাঙলার মানুষ। তো এহেন অভিনেত্রী ব্যক্তিগত জীবনে কেমন মানুষ?

বরাবরই বড্ড খোলামেলা থাকেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন যে সে সময় তার মাথার ওপরে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ কুমার, রবি ঘোষের মতো তারকা অভিনেতারা। তাই তারা কোনদিন আত্মহত্যার কথা ভাবতেই দেননি। তবে শুধু এটুকুই নয়, অভিনেত্রীর জীবনে খারাপ সময় এসেছিল সেই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইন্দ্রানী বলেছেন যে সে সময় তিনি পরপর ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। ভালো পরিচালকেরা ডাকছেন না। ভালো কোন ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না। এই মন খারাপ নিয়ে তিনি একদিন কথাটা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সৌমিত্র বাবু জবাব দিয়েছিলেন যে তিনি সত্যজিৎ রায়ের ছবির নায়ক। অসংখ্য পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। তবুও তাকে লড়াই করে যেতে হচ্ছে। তাই লড়াই করতে হবে।

এরপর থেকেই ধৈর্য্য ধরতে শিখেছেন তিনি। ইন্দ্রানী নতুন প্রজন্মকে ধৈর্য ধরার মন্ত্র শেখাতে চেয়েছেন। ভালো সময় উপভোগ করার সাথে সাথে খারাপ সময় কেউ মেনে নিতে হবে। কোন ধারাবাহিক টিআরপির অভাবে হঠাৎ বন্ধ করে হয়ে গেলে কপাল চাপড়ালে হবে না। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এর সাথেই তিনি সকলকে খারাপ সময়ে এলেও ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া ইন্দ্রানী অনুরোধ করেছেন যতই খারাপ সময়ে আসুক আত্মহত্যা করতে না। নতুন প্রজন্মের মধ্যে লড়াইয়ের এই আত্মবিশ্বাসটুকুই দেখতে চান পর্দার শ্রীময়ী।

Avatar

Papiya Paul

X