নিউজশর্ট ডেস্কঃ রচনা ব্যানার্জি(Rachna Banerjee), টলিউডের(Tollywood) অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। রূপে গুণে সবদিক থেকেই ১০০ তে ১০০ এই নায়িকা। তার সৌন্দর্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তার রূপের যাদুতে রাতের ঘুম উড়ে যায় অনুগামীদের। বয়স বাড়লেও তিনি এখনো আঠেরোর যুবতী। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন রচনা। কিন্তু জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান-এর(Didi Non 1) সৌজন্যে রচনাকে প্রত্যেকদিন টিভির পর্দায় দেখতে পারেন তার অসংখ্য ভক্তরা।
প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এই মঞ্চেই সঞ্চালনার দায়িত্ব রয়েছেন। আর তাই অভিনেত্রীর কাছে দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চ হয়ে উঠেছে পরিবার। এই পরিবারের তরফ থেকে অভিনেত্রীর জন্মদিন পালন করা হয়েছে। অভিনেত্রী জন্মদিনের দিন বেশ ধুমধাম সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছে দিদি নাম্বার ওয়ান-এর কলাকুশলীরা। যেমন সুন্দর করে স্টেজ সেজে উঠেছে, তেমনি আবার রচনার জন্য উপহারের শেষ নেই। চারপাশে বেলুন একেবারে খুশির পরিবেশ।
এদিন অভিনেত্রীর পরনে রয়েছে সবুজ রঙের শাড়ি। বলাই বাহুল্য, তাকে অসাধারণ সুন্দরী লাগছে। বরাবরের মতো মুখে ছিল একরাশ হাসি। যারা রচনার সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন সকলেই অভিনেত্রীর বিশেষ মানুষ। বৃদ্ধাশ্রম থেকে চার দিদা, তাদের জীবনের কাহিনী তুলে ধরতে এসেছিল। প্রত্যেকেই রচনাকে জড়িয়ে ধরেছেন। তারাও এদিন উপহারও দিয়েছেন রচনাকে। কেউ দিয়েছেন বই, কেউ আবার গাছের চারা।
দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে রচনার জন্মদিনের জন্য বেশ কিছু আয়োজন ছিল। এদিন তিনি একটি স্ট্রবেরি ফ্লেবারের কেক কাটেন। এই সেলিব্রেশন নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। রচনা বলেন, ‘এই মানুষগুলোর কাছ থেকে এতটা ভালোবাসা পাই আমি সবসময়। এত মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা বলেই হয়তো আজ এত বছর ধরে এই শো আমরা চালিয়ে যেতে পেরেছি। না হলে এত মাসের এত বছরের জার্নি আমরা অতিক্রম করতে পারতাম না, যদি এই মানুষগুলোর আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে না থাকতো।’
এর পরেই অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘সকলে বলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকলে সব সম্ভব হয়। এই কথা একেবারেই সত্যি। আমি বলব এই মানুষগুলো যদি জীবনে না থাকে, অনেককিছু সম্ভব হয় না। আর এতটা পথ অতিক্রম করাও সত্যিই খুব কঠিন হতো।আমার সকল দর্শকদের ধন্যবাদ। এত শুভেচ্ছার জন্য।’ পাশাপাশি তিনি গোটা জি বাংলার টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।