নিউজশর্ট ডেস্কঃ সামনেই বাঙালির বড়ো উৎসব দুর্গোৎসব। ইতিমধ্যেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে এই পুজোর। নতুন জামা থেকে নতুন খাবার এইসব নিয়েই এখন মগ্ন বাঙালি। পুজোর পাঁচটা দিন কিভাবে কাটাবেন সেই নিয়েও চলছে বিস্তর পরিকল্পনা। কোথায় ঘুরবেন? কি খাবেন? কার সাথে ঘুরবেন? সবই এখন আলোচ্য বিষয়। তবে অনেকেই এই পূজোয় চলে যান দূরে কোথাও ভ্রমনে। আসলে কর্মব্যস্ত ভিড় এই শহরের থেকে মুক্তি নিয়ে, কয়েকদিনের জন্য প্রাণখোলা নিঃশ্বাস নিতেই তাদের এই ভাবনা।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই পর্যটন স্থানগুলোতে ভিড় হওয়ায় সমস্যায় পড়েন মানুষেরা। তাই আজকে আপনাকে এমনই এক স্থানের সন্ধান দেব, যা একদিকে সুন্দর আরেকদিকে নিরিবিলি। আসুন জেনে নিই সেই অজানা লোকেশন(Offbeat Location) সম্পর্কে। বাঙালির অন্যতম প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশন হল দার্জিলিং(Darjeeling)। হাঁসফাঁস গরম থেকে একটু মুক্তি পেতে মাঝেমধ্যেই বাঙালি ছুটে আসে এই পাহাড়ি শহরে।
তবে জানেন কি এই দার্জিলিং এই রয়েছে এমন এক স্থান যা ছবির মতন সুন্দর আবার তেমনই নিরিবিলি। বিশেষ এই স্থানটির নাম হল ‘কালেজ ভ্যালি’। আসলে বিশেষ পাহাড়ি পাখি কালেজের নাম অনুসারেই এই উপয়ক্যাটির নাম দেওয়া হয়েছে কালেজ ভ্যালি(Kalej Valley)। একসময় এই উপত্যকার আনাচে-কানাচে দেখা যেত কালেজ পাখি। তাদের সৌন্দর্যতায় চোখ ধাঁধিয়ে যেত সকলের। তবে এখন কালের চক্রে অনেকটাই কমেছে এদের সংখ্যা। কিন্তু নামটা আজও তাদের নামেই রয়ে গেছে।
দার্জিলিং এর অদূরেই ছবির মতন এই সুন্দর গ্রামে যাওয়ার জন্য গাড়ি অপেক্ষা ট্রেক করাই ভালো। এর ফলে একদিকে যেমন আপনি বেশি সময় ধরে পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন তেমনি অন্যদিকে আপনি সাক্ষী হবেন এক নতুন অভিজ্ঞতারও। এই ভ্যালির প্রতিটা জিনিস দেখলে মনে হয় কোন শিল্পী যেন তার নিপুন হাতে এটি এঁকেছেন। বাড়িগুলিকে দেখলে মনে হয় যেন ছবির বাড়ি। রাস্তার দুইধার সু-সজ্জিত রয়েছে নানান রকমারি ফুলে। প্রতিটি বাড়িতেও যেন ফুলের মেলা। এই গ্রামের আরেক বিশেষত্ব পাইন পাতার চা।
হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন! এটি এখানের এক বিশেষত্ব। পাইন গাছের পাতা জলে ফুটিয়ে এমন সুন্দর চা তৈরি করেন এই গ্রামের বাসিন্দারা যে এর স্বাদ সহজে ভুলতে পারবেন না আপনি। ক্ষুদ্র এই গ্রামের আতিথেয়তা দেখল সত্যি অবাক হয়ে যেতে হয়। সকাল বিকেল দুপুর সন্ধে অতিথিদের যত্নআত্তি করেন গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়াও কালেজ ভ্যালিতে অসাধারণ সুন্দর চায়ের বাগানও রয়েছে। সকাল থেকে দুপুর গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেই কাটিয়ে দেওয়া যায় অনেকটা সময়। রাতের চাঁদের আলোতেও এই গ্রামকে মায়াবি দেখায়।
তবে দার্জিলিংয়ের অদূরে হলেও, এই গ্রামে পর্যটকদের খুব বেশি আনাগোনা নেই। অথচ এর চারপাশেই রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। সোনাদা, তাকদা, তিনচুলে ছোট মাঙ্গোয়া, পেশক, রঙ্গারুন। সকেল এই সব জায়গায় ঘুরতে আসেন অথচ মিস করে যান ছবির মতন এই গ্রামটিকে। এছাড়াও কাছেই আবার রয়েছে ইন্দ্রাণী ফসল বা রেনবো ফলস। যেখানে,রামধনু আল্পনা এঁকে দিয়ে যায়। তাই এবারে দার্জিলিং গেলে ভুলেও মিস করবেন না এই স্থান।