কখনও যাননি স্কুল, ছিল না কোনো শিক্ষা, তবুও কোটি কোটি টাকার কোম্পানির মালিক এই ব্যক্তি

নিউজশর্ট ডেস্কঃ কথায় বলে, পড়াশোনা করে যে গাড়ি – ঘোড়া চড়ে সে। এও বলা হয় অর্থই সব। তবে এই দুই প্রবাদ বাক্য কেই মিথ্যে প্রমাণ করেছেন এক ব্যাক্তি। বরং “ইচ্ছে থাকলেই সব হয়” এই প্রবাদ বাক্যের আদর্শ উদাহরণ তিনি। তার গল্প সত্যিই এক দৃষ্টান্ত, যা অনুপ্রেরণা দেবে বহু পিছিয়ে পড়া যুবক যুবতীকে। তাদের নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করবে এই জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ের। আসুন জেনে নিই তার গল্প(Success Story)।

মানুষটির নাম “মোহনলাল”। রাজস্থানের(Rajasthan) চুরুর কাছে ডাবলা গড়নের বাসিন্দা এই ব্যবসায়ী সত্যি এক দৃষ্টান্ত। তিনি প্রমাণ করেছেন অদম্য ইচ্ছেশক্তি আর সৎ প্রচেষ্টা থাকলে এই দুনিয়াতে সবই সম্ভব। তিনি এমন একজন মানুষ যাঁর ইচ্ছাশক্তির জোরে সামান্য ব্যবসা আজ ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

ভাবলেও অবাক লাগে, এই মোহনলাল কখনও পা রাখেননি স্কুলের আঙিনায়। ৬৬ বছরের সেই ব্যক্তিই আজ নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করে ফেলেছেন। আর সেখানেই কাজ করে কত উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা। কোনো প্রথাগত শিক্ষা না থাকায় নিজে নিজেই শিখেছিলেন মেশিন মেরামত করতে। তারপর ক্রমাগত সেই কাজে এতটাই পারদর্শী হয়ে উঠেছেন যে আজ নিজেই হয়ে উঠেছেন একটি প্রতিষ্ঠান।

মোহনলালের সংস্থা এখন নতুন সেলাই মেশিন বিক্রি করে। চুরু শহরের অলোক সিনেমার কাছে অবস্থিত তার “কুডাল সেলাই মেশিন সেন্টারে” আজ অনেক বিখ্যাত। তিনি জানান, “১৯৭৪ সালে একটি সেলাই মেশিন মেরামতের দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু সেই সময়ে, একটি বা দু’টি সুপরিচিত ব্র্যান্ড ছাড়া, কোনও কোম্পানি ভারতে টেইলারিং তৈরি করত না। তাই এখানে সেলাই মেশিন বিক্রি হতো না, মেশিনের যন্ত্রাংশও পাওয়া যেত না।

তিনি আরও বলেন, ‘সেই সময় ব্রিটিশ আমলের বিদেশি সেলাই মেশিন সিঙ্গার, পাফ, অ্যাডলার মেশিন মেরামতের জন্য আসতেন গ্রাহকেরা। কিন্তু যন্ত্রাংশই পাওয়া যেত না।’ এমন অবস্থায় একদিন তিনি ১৯৮০ সালে একটি টার্নিং মেশিন কেনেন। প্রতিটি অংশ ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। সবটা বুঝে নিতে শুরু করেন। এরপরই বাকিটা ছিল ইতিহাস প্রথমত ২০০০ সালে, নিজের ব্র্যান্ডকে নিবন্ধন করান তিনি এবং তারপর থেকেই তাঁর এই নিজের সেলাই মেশিন তৈরির ব্যাবসা। আর আজ ২৩ বছর পর এই ব্যবসা থেকে তার আয় কোটি টাকা।

Papiya Paul

X