নিউজশর্ট ডেস্কঃ সুরক্ষিত জায়গায় টাকা ইনভেস্ট(Invest) করার কথা ভাবলে সকলেরই এলআইসির নাম সবার আগে মাথায় আসে। এর কারণ অবশ্যই এর নির্ভরযোগ্যতা। এলআইসির(Life Insurance Corporation Of India) এমন অনেক পলিসি(Policy) রয়েছে যেখানে বিমার সুবিধার পাশাপাশি ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। নিজের কষ্টার্জিত অর্থ সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করার কথা ভাবনা চিন্তা করে থাকেন সকলেই। আজকে তাদের জন্যেই নিয়ে এসেছি এলআইসির একটি নতুন পলিসি।
এই পলিসির নাম হল ‘জীবন উমঙ্গ’। এই পলিসিতে গ্রাহকেরা আজীবন বিমার সুবিধা পাবেন। এর পাশাপাশি ম্যাচুরিটি হলে মোটা টাকা রিটার্ন মিলবে। চলুন তাহলে এই পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। জীবন উমঙ্গ পলিসি হল নন লিঙ্কড, পার্টিসিপেটিং, আর লাইফ আসুরেন্স প্ল্যান। এখানে পরিবারের জন্য নিশ্চিত নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এই পলিসিতে প্রিমিয়াম পেমেন্টের মেয়াদ শেষ হলে গ্রাহক মেয়াদ পূর্তির আগে পর্যন্ত সারভাইভাল বেনিফিট পেয়ে যাবেন।
প্রত্যেক বছর একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা পলিসি হোল্ডারের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে এলআইসি। এছাড়া ম্যাচিউরিটি এবং গ্রাহকের মৃত্যু হলে পলিসি হোল্ডারকে একক অর্থ প্রদান করা হবে। ধরুন ২৫ বছর বয়সে কেউ জীবন উমঙ্গ পলিসিতে ৩০ বছর মেয়াদে ৬ লক্ষ টাকার সাম অ্যাসিওর্ড করলেন। তাহলে তার জন্য তাকে প্রত্যেক মাসে দিতে হবে ১৬৩৮ টাকা। অর্থাৎ প্রত্যেক দিন প্রায় ৫৫ টাকা করে। ৫৫ বছর বয়সে পলিসি হোল্ডারের পেমেন্ট টার্ম শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আর সেই সময় থেকে ম্যাচুরিটি পর্যন্ত প্রত্যেক বছর ৪৮ হাজার টাকা করে পাবেন। ম্যাচিউরিটিতে পলিসি হোল্ডারকে বিমাকৃত অর্থ এবং বোনাস সহ এলআইসি দেবে ২৮ লক্ষ টাকা। এই স্কিমে ম্যাচিউরিটির বয়স হল ১০০ বছর। অর্থাৎ কেউ ১০০ বছর বয়সেও ম্যাচুরিটির সুবিধা পেয়ে যেতে পারেন। এর পাশাপাশি এই পলিসিতে ডেথ বেনিফিট রয়েছে। পলিসির হোল্ডার যদি পলিসির মেয়াদ চলাকালীন মারা যান তাহলে টাকার সঙ্গে রিভার্সনারি বোনাস এবং অ্যাডিশনাল বোনাস পেয়ে যাবেন।
আর এখানে ডেথ বেনিফিটর পরিমাণ প্রদত্ত প্রেমিয়ামের ১০৫%। এই প্রিমিয়াম এর মধ্যে ট্যাক্স অন্তর্ভুক্ত নেই। এই পলিসির বিপরীতে লোনের সুবিধা পাওয়া যাবে। এর জন্য পলিসি হোল্ডারকে একটানা তিন বছর প্রিমিয়াম দিতে হবে। এরপরেই ওই গ্রাহক এই পলিসির বিপরীতে লোন নিতে পারবেন। এই স্কিমের অধীনে, ঋণের পরিমাণ এবং সুদের হার ঋণ নেওয়ার সময়ের ওপর নির্ভর করে থাকে।