নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখন বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) প্রেমী দর্শকরা পেয়ে গিয়েছেন আরও এক নতুন বেঙ্গল টপার বাংলা সিরিয়াল। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কার কাছে কি মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) নিয়ে। পরপর দু সপ্তাহ বেঙ্গল টপার হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ছোট পর্দার শিমুল (Shimul) অভিনেত্রী মানালি দে।
পর্দায় তাঁর বিপরীতে অত্যাচারী স্বামী পরাগ চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। শুরু থেকে এই সিরিয়ালটি দর্শকমহলে কম সমালোচনা হয়নি। বিশেষ করে শুরুতেই ফুলশয্যার খাটে মা ছেলের একসাথে ঘুমানো থেকে শুরু করে শিমুলের ওপর প্রতি রাতে হওয়া বৈবাহিক ধর্ষণ দেখানোর জন্য প্রশ্ন উঠেছিল সিরিয়ালের লেখক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রত্যেকের রুচি নিয়ে।
এমনকি একসময় সিরিয়ালটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন দর্শকদের একাংশ। তবে একথাও ঠিক, বরাবরই এই সিরিয়ালের দর্শকরা দুটি অংশে বিভক্ত। তাই একদল মনে করেন বাস্তবে যা ঘটছে তাই দেখানো হচ্ছে এই সিরিয়ালে। আবার কারও করও দাবি এখনকার দিনে এই সমস্ত নেতিবাচক ঘটনা দেখালে সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে।
কিন্তু দিনের শেষে এ কথা প্রমাণিত এই ধরনের বাস্তব ঘটনাই টিভির পর্দায় দেখতে পছন্দ করেন দর্শক। তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে টিআরপি তালিকাতেই। তাই সমাজের রূঢ় বাস্তব চিত্র দেখিয়েই টিআরপি তালিকায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছে এই সিরিয়ালটি। যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই শিমুলের শ্বাশুড়ি মধুবালার চরিত্রে বিরাট বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হালুয়া টাইট সৃজনের! ‘তার কাটা’ পর্ণার খোরপোষের দাবি শুনেই বেহুঁশ বাবুর মা
তিনি শিমুলকে আর বউমা নয় বরং নিজের মতোই আগলে রাখেন। তাই এখন শিমুল তার বন্ধু হয়ে উঠেছে। কিন্তু আচমকাই আবার মোড় ঘোরানো হচ্ছে সিরিয়ালের। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে বিষ খাওয়ানোর পরেও পরাগ-পলাশকে পুলিশের হাতে না তুলে দিয়েই বাড়িতে এসে পরাগের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছে শিমুল। শুধু তাই নয়, শিমুল পরাগকে জানিয়েছে ‘আগামী দিনে নিজের মাইনের অর্ধেকটা আমার হাতে তুলে দেবে। আর যদি না দাও তাহলে আবার কেসটাকে আমি খুঁচিয়ে ঘা করতে পারি।’
কিন্তু কেউই বুঝতে পারছে না শিমুল কেন এত টাকা চাইছে। এই পরিস্থিতিতে শিমুলকে ভুল বুঝছে বিপাশা-সুচরিতারাও। এমনকি এখন পরাগ পলাশের কাছে টাকা চাওয়ার জন্য শিমুলের শ্বাশুড়ি মধুবালাও তাকে ‘লোভী মেয়ে’ বলেছে। যা দেখে দর্শকরাও বলছেন ‘মুখেই শুধু মেয়ে বলেন, আদতে পেটের সন্তানের ওপরেই যত টান’।