নিউজ শর্ট ডেস্ক: গত বছরেই অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রকাশ পেয়েছিল নীতি আয়োগ এর রিপোর্ট। এই তালিকায় উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) একাধিক জেলার (District) আর্থিক অবস্থা। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর জানা গেল পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার আর্থিক অবস্থা ঠিক কীরকম। প্রসঙ্গত ২০১৫-১৬ এবং ২০১৯-২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মাল্টি ডাইমেনশনাল প্রভার্টি ইনডেক্স এর তুলনা করে দেখা যায় রাজ্যের আর্থিক অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে।
২০১৯ থেকে ২১ সালের সেই রিপোর্টেই উঠে আসে আমাদের রাজ্যের সবচেয়ে ধনী জেলার (Richest District) নাম। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে তৈরী হয় এই রিপোর্ট? জানা যাচ্ছে শুধুমাত্র টাকার ভিত্তিতেই নয় এই রিপোর্টের মাপকাঠি হল শিক্ষা-পুষ্টি সহ জীবনের অন্যান্য বিষয়।
জানা যাচ্ছে,এই মুহূর্তে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে ধনী জেলা হল আমাদের সকলের প্রিয় শহর কলকাতা। এই মুহূর্তে তিলোত্তমা কলকাতেই বাস রাজ্যের সবচেয়ে ধনী মানুষজন। প্রসঙ্গত কলকাতা হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তথা রাজ্যের বৃহত্তম শহর। শুধু তাই নয় সমগ্র ভারতবর্ষে এটি একটি প্রধান বাণিজ্যিক ও শিল্প কেন্দ্রও বটে।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে কলকাতার মাথাপিছু আয় বেশি এবং দারিদ্র্যের হার-ও কম। তাছাড়া এই শহরেই রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা এবং ব্যবসার আবাসস্থল। শুধু তাই নয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবেও কিন্তু দেশ-বিদেশের বহু মানুষের কাছে বিশেষ সুখ্যাতি আছে শহর কলকাতার। তাই পর্যটনকেন্দ্র হিসাবেও এই শহর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: গরমে নাজেহাল অবস্থা শিয়ালদা স্টেশনের যাত্রীদের! টনক নড়তেই আশ্বাস রেল কর্তৃপক্ষের
তাই সব দিক দিয়েই বিচার করে দেখা যাচ্ছে বাংলার অন্য সব জেলার তুলনায় আর্থিক ভাবে এগিয়ে রয়েছে শহর কলকাতা। তবে এই তালিকায় শুধু কলকাতা নয় কলকাতা ছাড়াও একটি প্রধান শিল্প জেলা হিসাবে প্রথম সারিতে নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণারও। বর্তমানে এই জেলাতেও বেশ কয়েকটি কারখানা ও মিল রয়েছে।
তাছাড়াও হুগলি জেলাকেও একটি প্রধান বাণিজ্যিক ও শিল্প জেলা বলা যায়। একইভাবে আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হাওড়া জেলাতেও। প্রসঙ্গত ২০১৫-১৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতা জেলায় দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন মোট জনসংখ্যার প্রায় ২.৭২ শতাংশ মানুষ। কিন্তু তার পরের রিপোর্টে অর্থাৎ ২০১৯-২০২১ সালের রিপোর্টে সেটা কমে গিয়ে ২.৫৬ শতাংশ।শুধু তাই নয় পুরো দেশের ভিত্তিতে ২০২২-২০২৩ সালের যে রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে, তাতেও দেখা গিয়েছে, আর্থিক উন্নতি হয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গের।