নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে প্রায় প্রতিটি সংসারে আয় এর থেকে ব্যয় বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাই শুধু চাকরি করেই সংসার টানতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সকলেই। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষই হয় চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করেছেন। নয়তো কেউ কেউ চাকরির পাশাপাশি খুঁজছেন উপার্জনের নতুন পথ।
তবে তাদের ক্ষেত্রেও ব্যবসা-ই অন্যতম সেরা বিকল্প। তাই ইদানিং আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই বাড়ছে ব্যবসা করার প্রবণতা ,তবে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পুঁজি। তাই কম পুঁজিতে বেশি উপার্জন করা যায় এমন ব্যবসার সন্ধানে থাকেন কমবেশি সকলেই।
আজ তাদেরই জানাবো এমনই একটি ছোটখাটো অথচ দারুন শক্তিশালী ব্যবসা সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, এই বাড়ি বসেই এই ব্যবসা করে উপার্জন করা যেতে পারে মোটা টাকা। কি ভাবছেন? কিসের ব্যবসা আসলে এখানে কথা হচ্ছে আটার মিলের ব্যবসার। প্রসঙ্গত এই আটা এমনই একটি জিনিস যার চাহিদা থাকে সারা বছর।
আর অধিকাংশ মানুষ এখন স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই খাঁটি জিনিসই কিনছেন।তাই বাজারে বরাবরই কল থেকে উৎপাদিত খাঁটি আটার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া এই ব্যবসার জনপ্রিয়তাও এখন অনেক বেশি। তাছাড়া লাভজনক এই ব্যবসা চলবে বছরভর। তাই একবার এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে বসে থাকতে হবেনা কাউকে।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির থেকেও বেশি বেতন পান রিলায়েন্স গোষ্ঠীর এই কর্মী! জানুন তাঁর আসল পরিচয়
তবে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে একটি আটা গ্রাইন্ডিং মেশিনের। যা অফলাইন স্টোর বা ইন্ডিয়ামার্টের মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকেও কিনতে পাওয়া যাবে খুবই সহজে। এছাড়াও এই ব্যবসা এমন একটি জায়গায় শুরু করা দরকার যেখানে অনেক বেশি মানুষের যাওয়া আসা লেগে থাকে। অর্থাৎ জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেই যদি কারও বাড়ি থাকে তাহলে তো কথাই নেই। তিনি বাড়িতেই এই মেশিন ইনস্টল করে শুরু করে দিতে পারেন খাঁটি আটা তৈরির ব্যবসা। দুর্দান্ত এই লাভজনক ব্যবসাতে প্রথমে কমপক্ষে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে আটা গ্রাইন্ডিং মেশিনের জন্য।
শুরুতে, কোনও লাইসেন্স ছাড়াই এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারেন। পরে ব্যবসা বাড়লে লাইসেন্সের জন্যও আবেদন করা যেতে পারে। এই ব্যবসার মাধ্যমে দুভাবে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। প্রথমত শুধুমাত্র গ্রাহকের আনা শস্য পিষে তার জন্য টাকা নেওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয়ত আটা তৈরী করে তা প্যাকেটে ভোরে মানুষের কাছে বিক্রি করা। বাজারে প্রতি কেজি আটা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করেই প্রতি মাসে খুব সহজেই ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করা যেতে পারে